দাগনভূঞা আতাতুর্ক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তিসহ নানা অনিয়ম ও প্রধান শিক্ষকের অসাদাচরন নিয়ে তিরস্কার করেন দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দাগনভূঞা পৌরসভা নির্বাচনে দাগনভূঞা পৌরশহরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পথসভায় তিনি এসব বলেন।
এসময় তিনি প্রধান শিক্ষক মোবারক হোসেনকে হুঁশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন আগামী ১৮ তারিখের মধ্যে অত্র বিদ্যালয়ের আসন বৃদ্ধি করা না হয় মর্নিং শিফট চালু করার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন না করা হলে অভিভাকদের নিয়ে আমরা রাস্তায় কঠোর আন্দোলনে নামবো। আর আমরা যখন রাস্তায় নামবো তখন দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বোনা।
দিদারুল কবির বলেন আপনি প্রধান শিক্ষক (মোবারক হোসেন) অভিভাবকদের সাথে অসদাচরন করেন, এরকম হাজারো অভিযোগ রয়েছে। আপনি শিক্ষার্থীদের সাথেও ভালো ব্যবহার করেন না। আপনি স্কুলকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করেন। কোন অভিভাবক গেলে তার সাথে সৌজন্যমূলক কথাও বলেন না। আপনার প্রত্যাহারের দাবীতে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা অনেক আগেই রাস্তায় আন্দোলনে নামতো, আমার নিষেধের কারনে কেও নামেনী। তবে আপনাকে বলতে চাই অভিভাবকদের সাথে অসদাচরণ বন্ধ করুন। সুন্দর ব্যবহার করুন। না হয় আপনার প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অভিভাবকেরা রাস্তায় আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এ স্কুল প্রতিষ্ঠায় যারা সম্পত্তি দান করেছিলেন। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকের এ প্রতিষ্ঠান সে পরিবারের সন্তানেরা আজকে এ স্কুলে আসন পান না। তারা বিভিন্ন স্কুলে ভর্তির জন্য লাইন ধরতে হয়। একসময় এ স্কুলে ৪’শ শিক্ষার্থী ভর্তি হত অথচ সরকারিকরণের পর এ বিদ্যালয়ে মাত্র ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হচ্ছে। এ স্কুল সরকারিকরণের জন্য আমার অনুরোধে আমাদের ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী এ স্কুলটি সরকারিকরণ করার জন্য উদ্যোগ নেন। এবং স্কুল সরকারি হয়। কিন্তু সরকারি হওয়ার পর আজকে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আসন পায়না। ৪’শ শিক্ষার্থীর পরিবর্তে মাত্র ১৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হয়েছে। আমরাতো এরকম কিছু চাইনি।
উপজেলা প্রশাসন ও প্রধান শিক্ষকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অভিভাবকেরা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আছে। তাই অভিভাবকেরা রাস্তায় নামার আগে এর সামাধান করুন। আগামী ১৮ তারিখের মধ্য বিদ্যালয়ের আসন বৃদ্ধি করুন না হয় মর্ণিং শিফট বা দুই শিফট চালু করুন। তা না হলে রাম্তায় তীব্র আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। এবং এর সামাধান ও আপনি প্রধান শিক্ষকের প্রত্যাহার করেই রাস্তা ছাড়বে।
সম্পাদনা:আরএইচ/এমই







