ফেনী পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অতীতের মান-অভিমান ভুলে ভোটের মাঠে সরব ফেনী জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো। বিএনপির ঘাটি খ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জেলাতে বিগত কয়েক বছর নিরব ছিলো বিএনপি। মামলা, হামলা, ধরপাকড়, অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব এসবের কারনে রাজপথে তেমন দেখা যায়নি বিএনপিকে। পৌর নির্বাচনে সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে না পারায় সমালোচনাও কম হয়নি। তুব সব বিভেদ ভুলে মেয়র প্রার্থীর জন্য এক কাতারে এসে দাড়িয়েছে জেলা বিএনপি।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসন্ন ৩০ জানুয়ারির ফেনী পৌর নির্বাচনে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলালকে বিজয়ী করার জন্য বিভেদ ভুলে মরিয়া হয়ে মাঠে কাজ করছেন তারা। সকাল-বিকাল আলালের নির্বাচনী গণ-সংযোগে উপস্থিতিও চোখে পড়ার মত। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ দলের সব অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের সাথে পাল্লা দিয়ে জোর কদমে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তারাও। এক সময় যেখানে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে মিছিল মিটিংয়ে খুব বেশি নেতাকর্মীর উপস্থিত না হলেও, এখন পৌরনির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থী আলাল শত শত নেতাকর্মী নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
পৌর নির্বাচনে সব ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী দিতে না পারায় ফেসবুুকে নিজের আইডিতে স্ট্যাটাস দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। সেখানে তিনি সুস্পষ্ট অভিযোগ করে পৌর কমিটির বিরুদ্ধে লিখেন। তবে তাকেও এখন দেখা যাচ্ছে আলালের প্রচারণার মিছিল,মিটিংয়ের সামনের কাতারে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন বলেন, সুযোগ পাওয়ায় মাঠে সক্রিয় হয়েছেন ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। শহরের বাইরে থেকেও নেতাকর্মীরা আসছে প্রচরণা চালাতে।
পৌরনির্বাচনকে ঘিরে নেতা কর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস, বিভেদ ভুলে এক হওয়াকে দলের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনকে ঘিরে দলের মাঝে ঐক্যর ভিত্তি মজবুত হয়েছে। নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। ৩০শে জানুয়ারি ধানের শীষে জয় নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।
মেয়র প্রার্থী আলাল বলেন, শত বাধা বিপত্তির মাঝেও হাজার হাজর নেতা কর্মীর উপস্থিতি আমাকে অনুপ্রাণিত করছে। নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। সর্ব শক্তি দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাবো। জনগণ আমাদেরকে সমর্থন করে তা আমাদের প্রচারনায় মানুষের ঢল দেখলেই বুঝা যায়।
জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, ফেনী পৌরসভায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১৮টি সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ৬টি মহিলা কাউন্সিলর পদের জন্য ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এবার ফেনী পৌরসভায় ৫ জন মেয়র, ৮ ওয়ার্ডে ২২ কাউন্সিলর ও ১টি ব্লকে দুজন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফেনী পৌরসভায় ৯১ হাজার ৬৬২ জন ভোটার রয়েছেন। এদের মধ্যে ৪৭ হাজার ৩০৭ জন পুরুষ ও ৪৪ হাজার ৩৫৫ জন মহিলা ভোটার।
সম্পাদনা:আরএইচ/এইচআর







