জ্বালাময়ী দীর্ঘ কবিতা – নতুন ফেনী জ্বালাময়ী দীর্ঘ কবিতা – নতুন ফেনী
 ফেনী |
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জ্বালাময়ী দীর্ঘ কবিতা

রাশেদুল হাসানরাশেদুল হাসান
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০২:১৮ অপরাহ্ণ, ০৪ নভেম্বর ২০১৭

মোহাম্মদ সফিউল হক।
চেতনা, স্বপ্ন, ভালোবাসা, অসীম ত্যাগ, মহিমান্বিত দেশপ্রেম, ইতিহাসের বৃষ্টিতে স্নান, ইতিহাসের প্রেক্ষণ বিন্দুতে বাস, ইতিহাস হয়ে ওঠা, সাড়ে সাত কোটি বাঙালির হৃদয়ের অভিধানে লেখা, দোলনচাঁপার গন্ধ বুকে নিয়ে পাঠ করা নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। হিমালয়সম এই সুদর্শন দীর্ঘ পুরুষ দৃপ্ত অহংকারে, অসীম সাহসে, তেজোদ্দীপ্ত নৃসিংহের মত কেশর দুলিয়ে বুক চিতিয়ে হাঁটতেন । তাঁর আত্ম-প্রত্যয়ী পদচারণায় কেঁপে উঠতো চারপাশ, কেঁপে উঠতো শোষকের বুক, কেঁপে উঠতো ভীরু কাপুরুষ পাকিস্তানি শাসকদের তাসের ঘর। বঙ্গবন্ধুর নামের সাথে জড়িয়ে আছে একটি দেশের রক্তাক্ত অভ্যুদয়, শতাব্দীর কান্নাকে পিছনে ফেলে একটি জাতির নবজন্মের ইতিহাস, একটি জনগোষ্ঠীর হাজার বছরের হারিয়ে যাওয়া পরিচয় উদ্ধারের কাহিনি।

দুই.
৭ মার্চ, ১৯৭১ সাল। একটি মাত্র ভাষণ। যে ভাষণে আবেগের গাঁথুনিতে শক্তি সঞ্চয় করে বীর বাঙালি অস্ত্র ধরেছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শত বঞ্চনার বিরুদ্ধে। এদিন-ই মুক্তির ঝান্ডা উড়িয়ে বাঙালি তার স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে মরণপণ শপথ নেয়। সেদিন তিনি বক্তৃতা শুরু করেছিলেন বাঙালিদের একান্ত ও নিজস্ব উচ্চারণ ‘ভাইয়েরা আমার’ বলে। একেবারে আড়ম্বড়হীন ও বাহুল্যতা ছাড়া লাখো জনতার সামনে এমন অন্তরঙ্গ, প্রায় ব্যক্তিগত সম্বোধন বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই সম্ভব ছিলো। ভাষণের শুরুতেই তিনি বাঙালি আবেগকে উসকে দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেছিলেন, “আজ দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।” ৃ“আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।” “আমার পয়সা দিয়ে যে অস্ত্র কিনেছি বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য আজ সেই অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে আমার দেশের গরিব, দুঃখী, আর্ত মানুষের মধ্যে, তার বুকের উপর হচ্ছে গুলি।” “কার সাথে বসব, যারা আমার মানুষের বুকের রক্ত নিয়েছে তাদের সঙ্গে বসব?” “গরীরেব যাতে কষ্ট না হয়, যাতে আমার মানুষ কষ্ট না করে।” “আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়”। মানুষকে হত্যার প্রসঙ্গ এবং সেই কথা বলতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এসব ঘটনাকে চিহ্নিত করছেন আমার লোক, আমার মানুষকে হত্যা হিসেবে,এভাবে বারংবার তিনি উচ্চারণ করেছেন আমার মানুষ, আমার দেশের গরিব-দুঃখি, আমার লোক বলে যা মানুষের মনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের ভালোবাসা ও আগেবে উদ্দীপ্ত হয়েছিল। তিনি তাঁর সেই ঔতিহাসিক ভাষণে পাকিস্তানের তেইশ বছরের নিপীড়নমূলক শাসন এবং তার বিরুদ্ধে জনসংগ্রামের ইতিহাসের নির্যাস একটি বাক্যে তুলে ধরতে ও ভূলে যাননি। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “বাংলার ইতিহাস এদেশের মানুষের বুকের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস।” “মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।” বলেছিলেন- “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

তিন.
১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল ‘নিউজউইক’ সাময়িকী তাদের প্রচ্ছদজুড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে লিড নিউজে তাকে অভিহিত করে ‘ Poet of Politics ’ বা ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের জন্যই তাকে এ উপাধি দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের এ ভাষণ শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষের কাছেই নয়; বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রভাবশালী গণমাধ্যমেও এ ভাষণকে একটি যুগান্তকারী দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ হিসাবে মূল্যায়ণ করা হয়েছে।এমনকি কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীদেরও অনেক অমর সৃষ্টি হয়েছে, এ ভাষণের মহিমাকে ভিত্তি করে। সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছেন, “৭ই মার্চের ভাষণ আসলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল দলিল। ” কিউবার মহান বিপ্লবের অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো বলেছেন, “৭ই মার্চের শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শুধুমাত্র ভাষণ নয়, এটি একটি অনন্য রণকৌশলের দলিল।” যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট যোশেফ মার্শাল টিটো বলেছেন, “৭ই মার্চের ভাষণের তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, এই ভাষণের মাধ্যমে শেখ মুজিব প্রমাণ করেছেন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানীদের কোন রকম বৈধতা নেই। পূর্ব পাকিস্তান আসলে বাংলাদেশ।” গ্রেট বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হীথ বলেছেন,“পৃথিবীর ইতিহাসে যতদিন পরাধীনতা থেকে মুক্তির জন্য সংগ্রাম থাকবে, ততদিন শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণটি মুক্তিকামী মানুষের মনে চির জাগরুক থাকবে। এ ভাষণ শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণা।” পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত সিপিএম নেতা ও সাবেক মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বলেছেন, “৭ই মার্চের ভাষণ একটি অনন্য দলিল। এতে একদিকে আছে মুক্তির প্রেরণা। অন্যদিকে আছে স্বাধীনতার পরবর্তী কর্ম-পরিকল্পনা।” রেসকোর্স ময়দানের সেই ঐতিহাসিক ভাষণের পরপরই ঢাকাস্থ মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাড লিখেছেন, “রোববার ৭ই মার্চ প্রদত্ত মুজিবের ভাষণে তিনি যা বলেছিলেন, তার চেয়ে লক্ষণীয় হলো তিনি কি বলেননি। কেউ কেউ আশঙ্কা করছিলেন, আবার কেউ কেউ আশা করেছিলেন যে, তিনি বাংলাদেশকে সরাসরি স্বাধীন ঘোষণা করবেন। এর বদলে বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতার লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান তিনি জানালেন।” ১৯৭৪ সালে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী শন ভ্যাকব্রাইড বলেছেন, “শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন, কেবল ভৌগলিক স্বাধীনতাই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন মানুষের মুক্তি ও বেঁচে থাকার স্বাধীনতা। সাম্য ও সম্পদের বৈষম্য দূর করাই স্বাধীনতার সমার্থক। আর এ সত্যের প্রকাশ ঘটে ৭ই মার্চের ভাষণে।” বিবিসি-১৯৭১এই মন্তব্য করেছে, “পৃথিবীর ইতিহাসে জন আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গ ভাষণের সঙ্গে তুলণীয় এই ভাষণটি। যেখানে তিনি একাধারে বিপ্লবী ও রাষ্ট্রনায়ক।” রয়টার্স এর বিশ্বখ্যাত প্রতিনিধি ১৯৭১এ মন্তব্য করেছেন-“বিশ্বের ইতিহাসে এ রকম আর একটি পরিকল্পিত এবং বিন্যস্ত ভাষণ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যেখানে একই সংগে বিপ্লবের রূপরেখা দেয়া হয়েছে এবং সাথে সাথে দেশ পরিচালনার দিকনির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।” ১৯৭২ সালে আনন্দবাজার পত্রিকার এক নিবন্ধে বলা হয়, ‘উত্তাল জনস্রোতের মাঝে, এ রকম একটি ভারসাম্যপূর্ণ, দিকনির্দেশনামূলক ভাষণই শেখ মুজিবকে অনন্য এক ভাবমূর্তি দিয়েছে। দিয়েছে অনন্য মহান নেতার মর্যাদা।”

চার.
রাজনীতি বিষয়ক গবেষক মাহবুবুল আলম (‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি ও জীবনধারা’ নামক প্রায় সাত শত পৃষ্ঠার একটি গবেষণা গ্রন্থের রচয়িতা-যে বইটি ২০১৩ সালে অমর একুশের গ্রন্থমেলায় ‘জনতা পাবলিকেশনস’ থেকে প্রকাশিত), তাঁর ৭ই মার্চ ২০১৫ সালে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ’ নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এ প্রাজ্ঞ ও কৌশলী ভাষণ পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গে প্রদত্ত ভাষণের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণকে তুলনা করে বলেছেন, আব্রাহাম লিংকনের প্রদত্ত ভাষণটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত ও লিখিত ভাষণ, প্রকৃতপক্ষে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণটি ছিল তাৎক্ষণিক এবং অলিখিত। সে হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণটি আব্রাহাম লিংকনের ভাষণটিকেও ছাপিয়ে গেছে। তাই এই ভাষণটি যুগোত্তীর্ণ। যুগে যুগে এ ভাষণ নিপীড়ত, লাঞ্ছিত স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণা ও উদ্দীপনা হিসাবে কাজ করবে। এই কারণেই বঙ্গবন্ধুর এ ঐতিহাসিক ভাষণটি সারা বিশ্বের সমসাময়িক রাজনৈতিক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব, রাজনীতির ছাত্র ও রাজনৈতিক গবেষকদের দ্বারা প্রশংসিত।” ২০১৭ সালের ৭ই মার্চ ‘বাংলাদেশ প্রেস ডট কম’ অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত ‘বিশ্বের সেরা ভাষণের তালিকায় ৭ই মার্চের ভাষণ’ শিরোনামের এক সংবাদ এ লেখা হয়েছে, “বিশ্বজুড়ে সেরা ভাষণগুলোর তালিকায় রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ। খ্রিস্টপূর্ব ৪৩১ সাল থেকে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সেরা ভাষণ নিয়ে ২২৩ পৃষ্ঠার একটি বইয়ে স্থান পেয়েছে এই ভাষণ। ইংরেজিতে অনুদিত ‘উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেস- দ্য স্পিচেস দ্যাট ইন্সপায়ার্ড হিস্টরি’ নামের এই বইটি সংকলন করেছেন জ্যাকব এফ. ফিল্ড। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টন চার্চিলের ভাষণ দিয়ে শুরু করা সংকলনের শেষ ভাষণটি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগ্যানের। বইটির ২০১ পৃষ্ঠায় ‘দ্য স্ট্রাগল দিস টাইম ইজ দ্য স্ট্রাগল ফর ইন্ডিপেন্ডেন্স’ শিরোনামে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বইটি প্রকাশিত হয়।”

পাঁচ.
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৮ মিনিট স্থায়ী সেই জ্বালাময়ী ভাষণ কোনো ভাষণ নয়, বরং একজন দক্ষ, সুনিপুণ কবির ছন্দময় কবিতা। বাংলাদেশের জনপ্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণের ভাষায়- ‘কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠবাণী? গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর- কবিতাখানী।’ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন- ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতার প্রকাশভঙ্গি ছিল অসাধারণ। এটা কোনো বাক্যবাগীশতা ধরনের ভাষণ ছিল না। ১৮ মিনিটের ভাষণটি ছিল বাহুল্যবর্জিত, শব্দ চয়নে ও বাক্যের বাঁধনে ছিল সহজবোধ্য, ঘরের আপন লোকের বাচনভঙ্গি দ্বারা ছিল অলংকৃত, প্রবাহমান ঝরণার মতো ছিল সাবলীল। কণ্ঠস্বর ছিল স্বতর্ঃস্ফ’র্ত। কণ্ঠের মডুলেশন ছিল মন্ত্রমুগ্ধকর আগাগোড়াই বজ্র নিনাদের আওয়াজ ও প্রয়োজনমতো জ্বালাময়ী। আআ.স.ম আরিফিন সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা ও বাগ্মীতা সম্পর্কে লিখেছেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ যোগাযোগ বিজ্ঞানের তাত্ত্বিক প্রয়োগের এক বিস্মকর ঘটনা। যোগাযোগ বিষয়ে অমানবিক নিয়ম কানুনের এক আশ্চর্য প্রতিফলন ঘটেছে। বঙ্গবন্ধুর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক ভাষণে প্রতি মিনিটে গড়ে ৫৮ থেকে ৬০টি শব্দ উচ্চারণ করে মাত্র ১৯ মিনিটে কালজয়ী ভাষণটি শেষ করেছেন। সম্প্রচারতত্বে প্রতি মিনিটে ৬০ শব্দের উচ্চারণ একটি আর্দশ হিসাব এক হাজার একশত সাতটি শব্দের ভাষণে কোন বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তি ছিল না। বঙ্গবন্ধু একজন শক্তিশালী বক্তা। বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি সব কিছুই ব্যবহার করেছেন। যথার্থ শব্দ, প্রজ্ঞা এবং বজ্রধ্বনি।

ছয়.
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীর, শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও মহানায়ক হিসেবে চির স্মরণীয় একটি নাম। তাঁর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বের ১২টিরও অধিক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে এ ভাষণ ছিল অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। তাই ৭ই মার্চের ভাষণ কেবল অবিস্মরণীয় নয়, বাঙালির জন্য অনিঃশেষ এর প্রেরণা।গত ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। যে তালিকার মাধ্যমে ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে, সেখানে বঙ্গবন্ধু এখন থেকে আরো ঔজ্জ্বল্য নিয়ে মূর্ত থাকবেন।তাঁর জ্বালাময়ী এ দীর্ঘ কবিতা হবে বিশ্বের তাবৎ স্বাধীনতাকামী জনগণের প্রেরণার উৎস।
লেখক: ব্যাংকার, কবি ও প্রাবন্ধিক

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.
betebet giriş betebet giriş güncel giriş betebet giriş giriş betebet giriş betebet giriş güncel giriş betebet giriş giriş betebet giriş betebet güncel giriş betebet giriş betebet betebet jasminbet jasminbet güncel giriş jasminbet giriş jasminbet jasminbet giriş jasminbet jasminbet giriş jasminbet jasminbet jasminbet güncel giriş jasminbet giriş jasminbet betasus giriş güncel giriş betasus giriş giriş betasus giriş betasus güncel giriş betasus giriş betasus betasus marsbahis giriş marsbahis giriş güncel giriş marsbahis giriş giriş marsbahis giriş marsbahis giriş güncel giriş marsbahis giriş giriş marsbahis giriş marsbahis güncel giriş marsbahis giriş marsbahis marsbahis casibom güncel giriş casibom giriş casibom güncel giriş casibom giriş onwin güncel giriş onwin giriş onwin casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom betebet giriş güncel giriş betebet giriş giriş betebet giriş betebet güncel giriş betebet giriş betebet betebet casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom sekabet giriş sekabet sekabet iptv iptv satin al iptv satin al ip tv casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom marsbahis marsbahis güncel giriş marsbahis giriş marsbahis onwin onwin güncel giriş onwin giriş onwin onwin onwin güncel giriş onwin giriş onwin padisahbet güncel giriş padisahbet giriş padisahbet padisahbet vdcasino güncel giriş vdcasino giriş vdcasino vdcasino casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom marsbahis marsbahis güncel giriş marsbahis giriş marsbahis casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom onwin onwin güncel giriş onwin giriş onwin onwin casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom marsbahis marsbahis giriş marsbahis marsbahis giriş marsbahis marsbahis onwin onwin güncel giriş onwin giriş onwin casibom güncel giriş casibom giriş casibom marsbahis giriş marsbahis marsbahis ip tv satin al ip tv casibom güncel giriş casibom giriş casibom jojobet jojobet giriş jojobet jojobet giriş jojobet jojobet marsbahis güncel giriş marsbahis giriş marsbahis casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom jojobet casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom jojobet jojobet güncel giriş jojobet giriş jojobet casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom jojobet jojobet güncel giriş jojobet giriş jojobet casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom