নুরুন নবী নোমান ও আফজাল ইপু >>
ফেনীতে আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষার ঠিকানা সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল। খুব অল্প সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মন জয় করে জায়গা করে নিয়েছে সেরা স্কুলগুলোর তালিকায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফেনীতে অসংখ্য বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও নতুনত্ব ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে ২০১৪ সালে সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। তরুণ শিক্ষা উদ্যোক্তা এম মামুনুর রশিদ নিরলস চেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটির আলোকচ্ছ্বটা স্বীয় মহিমায় উদ্ভাসিত হচ্ছে। নতুনত্ব ও ব্যতিক্রমতার কারণে বিদ্যালয়টি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা দখল করে নিয়েছে।
প্রভাতী ও দিবা শাখায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭শ’ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে। প্লে থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেন ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে তিল তিল করে গড়ে উঠছে আগামীর ভবিষ্যত। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ভাড়া দুটি ভবনে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে।
বিদ্যালয়ে আধুনিক শ্রেনী কক্ষ, কম্পিউটার ল্যাব, বিজ্ঞানাগার, অডিটরিয়াম ও ক্যান্টিনসহ স্কুল ভবনের অভ্যন্তরে ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য সুপরিসর ইনডোর স্পোর্ট কক্ষ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের তিন স্তরে মনিটরিং, পাঠ পরিকল্পনা, সচিত্র বইয়ের মাধ্যমে ধারণা প্রদান, প্রয়োজনীয় ও মানসম্মত হেন্ড নোট, সাপ্তাহের পর্যালোচনামূলক ফিডব্যাক আওয়ার এন্ড মেডিটেশনসহ শিক্ষা কার্যক্রমকে আধুনিক ও বিজ্ঞান সম্মত ভাবে পরিচালিত হয়।
শিক্ষার পাশাপাশি সেন্ট্রাল পাবলিক স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শরীর চর্চা, ধর্মীয়-জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দবিসগুলো পালন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ, শিক্ষা সফর, দেয়ালিকা ও ম্যাগাজিন প্রকাশ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও অভিভাবক সমাবেশ, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চমৎকার ফলাফল অর্জন করে আসছে। ২০১৪ সালে জেএসসিতে ১১জন, ২০১৫ সালে ১২জন, ২০১৬ সালে ৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ পাশ করে। পিএসসিতে ২০১৪ সালে ৮জন, ২০১৫ সালে ১৬ জন ও ২০১৫ সালে ১৫জন শিক্ষার্থীর মধ্যে শতভাগ পাশ করে। একই ভাবে এসএসসিতে ২০১৫ সালে ও ২০১৬ শতভাগ পাশ করে। এছাড়াও ২০১৬ সালে ৫জন ও ২০১৭ সালে ৭জন শিক্ষার্থী সরকারী বৃত্তি লাভ করে।
এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২০১৫ সালের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে দ্বিতীয়, ২০১৬ সালে তৃতীয় ও ২০১৭ সালের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় স্থান লাভ করে।
বিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ মো. জহির উদ্দিন বাবর নতুন ফেনী’কে বলেন, কোমলমতি শিশুদের নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাবোধ, নৈতিক জ্ঞান, সামাজিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিকভাবে যোগ্য করে তুলতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। সকলের সার্বিক সহযোগিতা পেলে প্রতিষ্ঠানটি এ জনপদের উন্নয়নে অংশীদা হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান উদ্যোক্তা এম. মামুনুর রশিদ নতুন ফেনী’কে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। সকলের সহযোগিতা পেলে শিক্ষার মানোন্নয়নে অগ্রনি ভূমিকা পালক করবে এ প্রতিষ্ঠান।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনএনএন/এই







