
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সাইফুদ্দিন শাহ। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি। এসময় উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন উপাচার্য। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে নিজের রিজিওনের বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দেয়ার আহবান জানান তিনি।
প্রফেসর শাহ বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতীর সাথে আমাদের সমাজেও দ্রুত বিবর্তন সাধিত হয়ে চলেছে। প্রথাগত ডিগ্রীই উচ্চশিক্ষা অর্জনের একমাত্র কাম্য নয়। উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে মন ও মননশীলতার বিকাশ ঘটানো; উচ্চশিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে পরিবর্তিত অবস্থার সাথে খাপ খাওয়ানোর কৌশল অর্জন করা। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন একটি জাতির উন্নয়নের পূর্বশর্ত হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
প্রতিষ্ঠার বিগত পাঁচ বছরে এ ইউনিভার্সিটির যে সকল উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তার বর্ণনায় তিনি উল্লেখ করেন যে সার্বিকভাবে শিক্ষক ও শিক্ষার মান, শিক্ষার পরিবেশ, শ্রেণীকক্ষ, ল্যাবরেটরি, লাইব্রেরী, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক ইত্যাদির নিরিখে ফেনী ইউনিভার্সিটি অনেকদূর এগিয়ে গেছে এবং এক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুটিকয়েক সুনাম অর্জনকারী প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির নাম করা হলে সেখানে ফেনী ইউনিভার্সিটির নাম সহজেই অন্তর্ভুক্ত করা যায়।”
এসময় ফেনী উইনিভার্সিটির বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির কথা তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, “ফেনী ইউনিভার্সিটিতে যে সেমিস্টার ফি গ্রহন করা হয় তা মাত্র গুটিকয়েক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ফি ছাড়া বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির গৃহীত ফি-এর চেয়ে কম।” পড়ালেখার তুলনামূলক খরচ এবং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার মান ও সুযোগ-সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে উচ্চ শিক্ষার জন্য তিনি এতদাঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ফেনী ইউনিভার্সিটিকে তাদের পছন্দের তালিকায় রাখার আহ্বান জানান।
জিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তাহামিনা বেগমের সভাপতিত্বে সেমিনারে ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার তায়বুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জিয়া সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুন নাহার, একই কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবদুল মালেক ও ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ এস এম আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এমকেএইচ







