ফেনী জেলা ও তার আশপাশের এলাকায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভাব পূরণ করছে ফেনী ইউনিভার্সিটি। বৃহস্পতিবার সোনাগাজী বখতার মুন্সি শেখ শহীদুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের হল রুমে উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন। ফেনী ইউনিভার্সিটি ও বখতার মুন্সি ডিগি কলেজের যৌথ আয়োজনে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফেনী উইনিভার্সিটির উপাচার্য, বিশিষ্ট মৎস্য বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. সাইফুদ্দিন শাহ।
গেল ছয় বছরে ফেনী ইউনিভার্সিটির সাফল্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, “এই অঞ্চলের উচ্চ শিক্ষা বিস্তারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠা এই বিশ্ববিদ্যালয়। তাই ফেনী ইউনিভার্সিটিকে নিজেদের সম্পদ মনে করে এটিকে জাতীয় ভাবে আমাদের প্রমোট করা উচিৎ।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে উপাচার্য বলেন, “ফেনী ইউনিভার্সিটিতে যে সেমিস্টার ফি গ্রহন করা হয় তা অন্যান্য প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ফি-এর চেয়ে কম। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা আছে। দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত অথচ মেধাবী, এমন শিক্ষার্থীরা যেন ঝরে না পড়ে, সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখি।”
উচ্চ শিক্ষায় আঞ্চলিকতা প্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রফেসর শাহ বলেন, “দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল যেমন; সীমান্ত, পাহাড়ী, উপকূলীয় দ্বীপ ও চরাঞ্চলে সহজে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনা। ফলে সে রকম এলাকা সমূহ আবশ্যিকভাবে উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে। এরকমই একটি প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ও উন্নয়নের কেন্দ্র হিসাবে ফেনীতে একটি ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত যুক্তিগ্রাহ্য হয়েছে। একটি ইউনিভার্সিটি হচ্ছে নতুন জ্ঞানের উৎপত্তি ও বিতরণের জায়গা, সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিস্তারের প্রাণকেন্দ্র।”
বখতার মুন্সি শেখ শহীদুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার জনাব তায়বুল হক বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন। ফেনী ইউনিভার্সিটিতে আমরা অল্প খরচে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দিচ্ছি। গরীব, সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা যাতে এই ইউনিভার্সিটির পড়ার সুযোগ পায় তা অবশ্যই সহানুভ’তির সাথে বিবেচনা করা হবে।”
ফেনী ইউনিভার্সিটির মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ছাত্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবুল খায়েরের সঞ্চলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক মো. সাঈদ হোসেন পারভেজ, সহকারি রেজিস্ট্রার (অ্যাকাডেমিক) সৈয়দ মুহিউদ্দিন হায়দার, বখতার মুন্সি শেখ শহীদুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি