নেত্রকোনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এখানে বর্তমান সাংসদ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদারের বিরুদ্ধে বড় কোনো অভিযোগ নেই। তবে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল দীর্ঘদিন ধরেই এখানে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
ঢাকা-২০ আসনে ২০০৮ সালে সাংসদ ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ। ২০১৪ সালে সাংসদ হন আবদুল মালেক। এরপর থেকেই দুজনের দ্বন্দ্ব চরমে। তবে জেলা সভাপতি হওয়ায় বেনজির সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন। এবার মালেকের বদলে বেনজির নিজ আসন ফিরে পাচ্ছেন বলে আলোচনা আছে।
চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-হালিশহর-খুলশী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এম মনজুর আলম। তিনি বিএনপির সমর্থনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হয়েছিলেন। তবে এ আসনে নয়, তাঁকে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ আসনের বর্তমান সাংসদ দিদারুল আলম মনজুর আলমেরই ভাতিজা। চট্টগ্রাম–১০ আসনের বর্তমান সাংসদ আফছারুল আমীনই বহাল থাকছেন। বিএনপির সমর্থনে মেয়র হলেও মনজুর আলমকে আওয়ামী লীগেরই লোক মনে করেন দলীয় নীতিনির্ধারকেরা।
ঢাকা-৭ আসনে গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। কিন্তু স্বতন্ত্র নির্বাচন করে জয়ী হন হাজি মোহাম্মদ সেলিম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ হলেও এবার দল তাঁকেই বেছে নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী বয়সের কারণে বাদ পড়ছেন। এখানে সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে আলোচনা আছে। তবে শওকত আলীর ছেলে খালেদ শওকত আলী গত রাতে গণভবনে দলীয়প্রধানের কাছে গিয়ে নিজের পক্ষে অবস্থান তৈরির চেষ্টা করেন। শরীয়তপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হকও বাদের তালিকায় আছেন।
সাংসদদের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়ার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাদ পড়তে পারেন, এ মুহূর্তে বলব না। চমক বলব না, নানা কারণে বাদ পড়তে পারেন।’
সম্পাদনা:আরএইচ/এইচআর