শুকনো মৌসুমে অগ্নিকাণ্ড বেশি ঘটে থাকে। ঢাকায় এক মাসেই দুটি ভয়াবহ আগুনের ঘটনা সবাইকে আতংকে ফেলে দিয়েছে। এ বিষয়ে তাই সতর্ক থাকা জরুরি সবার।
বাসা-বাড়িতে আগুন লাগলে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করবেন-
* রান্না ঘরে একটি বালতিতে ভরে বালু রাখুন। আগুনে কাজে লাগবে।
* বাড়ীতে রান্না ঘরের কাছাকাছি অন্নান্য ঘরের সংযোগ স্থলে ফায়ার অ্যালার্ম লাগান ( smoke detector)।
আগুন লাগলে
১. চিৎকার করে সবাইকে জানান দিন। বের হতে হতে চিৎকার করতে থাকুন ‘আগুন, আগুন’। এটা ভয়ের চিৎকার নয়, সতর্কতার চিৎকার।
২. কোনো মূল্যবান জিনিস সংগ্রহের চেষ্টা করবেন না , তা যত মূল্যবান হোক না কেন। আপনি ও আপনার পরিবারের সদস্যদের জীবনই এসময় সর্বাপেক্ষা জরুরী। ১ সেকেন্ড সময়ও মূল্যবান।
৩. আমরা মারা যাচ্ছি – এমন কোনো কথা বলবেন না। হয়রান হবেন না। পরিস্থিতি যতটা শান্ত রাখা যায় বিপদ মুক্তির সম্ভাবনা তত বেশী।
৩. আপনার গায়ে আগুন লেগে গেলে কোনো অবস্থায় দৌঁড়াবেন না। থামুন, গড়িয়ে গড়িয়ে যেদিকে যেতে চান সেদিকে যান।
৪. নাক কাপড় দিয়ে ঢাকুন, হাতের কাছে পানি থাকলে কাপড় ভিজিয়ে নিন।
৫. সিঁড়ি ঘরে গেলে যদি ধোয়া দেখতে পান তাহলে কখনো উপরে উঠবেননা। ছাদে যাবার চেষ্টা করবেন না। ধোঁয়া বাতাসের থেকে হালকা- তাই তাই ওপরের দিকে ওঠে। এবং সেটা ফুসফুসে ঢুকলে করে আপনি প্রথমে বেহুঁশ হয়ে যাবেন তারপর অজ্ঞান অবস্থায় মারা যাবেন।
৬. যদি সিঁড়ি দিয়ে নামা বিপজ্জনক হয় তবে বারান্দা, বা জানালার কাছে চলে যাবেন; এতে হাতে বেশী সময় পাবেন।
৭. ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পথ পরিহার করুন। যদি বাধ্য হন ধোঁয়ার মধ্যে দিয়েই যেতে তবে মনে রাখবেন। মনে রাখনে, যত নিচে যাবেন তত ধোঁয়া এড়িয়ে যেতে পারবেন।
৮. রুম বা পথ ধোয়ায় ভরে গেলে হেঁটে বের হওয়ার চেষ্টা করবেন না। উপুড় হয়ে বা হামাগুড়ি দিয়ে বের হতে চেষ্টা করবেন। ধোঁয়া ওপরে উঠে বলে নীচের বাতাসে অক্সিজেন বেশী থাকে। এতে আপনি বেহুঁশ হওয়ার আগে বেশী সময় পাবেন।
৯. ধোঁয়ায় কিছু দেখা না গেলে ও একাধিক সদস্য থাকলে একজনের পেছনে আরেকজন হামাগুড়ি দিবেন -একে অন্যের কাপড় বা পা ধরে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি







