মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় ব্যবহৃত আরো একটি বোরকা উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শনিবার দুপুরে মামলার অন্যতম আসামী শাহাদাত হোসেন শামীমের দেখানো মতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদসার পুকুর থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের ওসি মো. শাহ আলম জানান, নুসরাত হত্যা মামলার ৩নম্বর আসামী শাহাদাত হোসেন শামীমকে নিয়ে নিয়ে মাদরাসায় অভিযান চালানো হয়। পরে ওই মাদরাসার পুকুরে তার দেখানো স্থান থেকে একটি বোরকা উদ্ধার করা হয়। হত্যাকান্ডের সময় শামীম এ বোরকাটি ব্যবহার করেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার শাহাদাত হোসেন শামীম ও জাবেদ হোসেনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এরআগে বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের দুইজনকে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন তাদের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এ মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ৯ জন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ রয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগিরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।
এ ঘটনা তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন। মামলার এজহারভূক্ত ৮ আসামীসহ এখন পর্যন্ত ২১জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি