নিজস্ব প্রতিনিধি >>
সহায় সম্বল বলতে তাদের কিছুই নেই। থাকে ঝুপড়ী ঘরে। কিন্তু পড়ালেখায় খুবই মেধাবী। প্রাইভেট শিক্ষকতো দূরের কথা অভাবের তাড়নায় নিয়মিত স্কুলে যেতে পারে না নুর নবী। পিতা আবদুল ওহাবকে ভ্যানগাডি করে সবজী বিক্রিতে সাহায্য করে সে। খাওয়া হয়না তিন বেলা পেটপুরে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফেনী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এবারের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে।
অসহায় নূর নবী ফেনী সদর উপজেলার ফতেহপুরে এক চিলতে ভাড়া বাসায় পিতা মাতার সাথে বসবাস করে। পিতা আবদুল ওহাব পেশায় দিন মজুর। ভোরে সবজী বিক্রি করে, দিনে অন্যের জমিতে কাজ করে। মা কহিনুর বেগম অন্যের বাড়ীতে ঝিয়ের কাজ করে।
নূর নবী শহরতলীর ফতেহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণিতে সমাপনী দিয়েছে। তার ছোট বোনও খুবই মেধাবী। তাদের ঝুপড়ী ঘরে গিয়ে দেখা যায়, পড়ার টেবিল নেই, নেই প্রয়োজনীয় খাতা কলম। নূর নবীর পিতা আবদুল ওহাব শঙ্কিত কিভাবে ছেলেকে পড়ালেখা করাবে। নূর নবীর ইচ্ছা সে পড়ালেখা করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে চায়। মেধাবী নূর নবীকে সহায়তা করতে তার পিতা সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। সাহার্য্য পাঠাতে যোগাযোগ করুন -০১৯৯২৫৮৫০৪৯ এই নাম্বারে।
সম্পাদনা: অরএইচ/ডিটি
ফেনী পাইলট স্কুলের মেধা তালিকায় সবজি বিক্রেতা নূর নবী








