আমার জীবনে কোন পিছুটান নেই – নতুন ফেনী আমার জীবনে কোন পিছুটান নেই – নতুন ফেনী
 ফেনী |
৮ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমার জীবনে কোন পিছুটান নেই

রাশেদুল হাসানরাশেদুল হাসান
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:৪৭ অপরাহ্ণ, ২৯ জুলাই ২০১৮

কবিতা কী সহজ সরল? কবিতা যদি তাই হয়ে থাকে তবে কবিতার মতোই সহজ সরল কবি মাহবুব আলতমাস। সদা হাস্যোজ্জল থাকেন তিনি। লেখালেখি যতটা না করেছেন তার চেয়ে বেশি ভালোবেসেছেন। সাহিত্য-সংস্কৃতির মানুষরাই তার একান্ত আপনজন বলে মনে করেন। প্রিয় এই মানুষটি ১৯৪৪ সালের ১৪ আগস্ট ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিলে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর আফরোজা লিলির সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়েতে আবদ্ধ হন। তাঁর ৩ কন্যা ও ১ পুত্র সন্তান। শিক্ষকতার মধ্য দিয়েই তার কর্মজীবন শুরু হয়। পরে স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা জুট ট্রেডিং করপোরেশনে ১৭ বছর কাজ করেন। পরে বাংলাদেশ বিজিএমসিতে ৫ বছর কাজ করেন। ঢাকা প্রভাতী ইন্সুরেন্সে, চট্টগ্রাম সানমেন, বান্দরবনে রয়েল টেক্সটাইল, ৯০ দশকে ফেনীতে স্থিত হন।

জীবনের সিংহভাগ সময় ধরে সাহিত্য চর্চায় নিয়োজিত ছিলেন। লেখালেখিতে ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নিরলস কাজ করে চলেছেন। প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ- দক্ষিণে বন্দনা করি বঙ্গমা সাগর (কবিতা) প্রজাপতি রঙিন মন (উপন্যাস), শাল ফুলি বৃষ্টি (ত্রয়ী কবিতাপত্র)। বাল্যবন্ধু হিসেবে পেয়েছেন বাঙলা নাটকের প্রাণপুরুষ আচার্য্য সেলিম আল দীনকে। সমুদ্র¯œাত সোনাগাজী উপজেলার উপকূলে কেটেছে শৈশব-কৈশোর, আর তারুণ্যের দিনগুলো। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ফেনী শাখার সভাপতি। প্রায় ১ বছর আগে তিনি এ সাক্ষাৎকারটি দেন। সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন তাঁর শৈশব-কৈশোর-রাজনীতি-স্মৃতি, ফেলে আসা জীবনের নানা প্রসঙ্গ। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন-শাহাদাত হোসেন তৌহিদ

নতুন ফেনী: জীবনের এ পর্যায়ে এসে জীবনকে কীভাবে দেখেন, চূড়ান্ত অর্থে জীবনের মানে কি?
মাহবুব আলতমাস: জীবন কিছু দায়িত্ব আর কর্তব্যের নাম। জীবন একটি ছোট্ট খেলাঘর। এ খেলাঘরে আপনি নিজে ভালো হলে সব ভালো। পাছে লোকে কত কিছু বলে। এসবে আমি কোন গুরুত্ব মনে করি না। বলতে গেলে খেলাঘরে বৈষয়িকভাবে এ সমাজে আমি ব্যর্থ মানুষ। আমি সাধারণ জীবনে অভ্যস্থ। আমার কোন উচ্চাশা ছিল না। জীবনের মানে- পরিবারভূক্ত সবার স্বপ্ন আশা থাকে, তারপর টানাপোড়ন থাকে। এটিই এ সমাজে জীবনের অংশ। আমি সাহসী ও স্পষ্টবাদী। কবিতাই আমার জীবন।

নতুন ফেনী: ছোটবেলায় কখনো কী জানতে পেরেছিলেন যে, আপনি কবি হবেন?
মাহবুব আলতমাস: আমার দাদার বিরাট পরিবার থাকায় আমাদের অনেক স্বজন। সব পেশার লোকজন আছে। স্কুলে পড়াকালীন লেখালেখির ইচ্ছা ছিল। বিভিন্ন ধরনের ভাবনা-চিন্তা-আশা-হতাশা-পাওয়া-না পাওয়া-প্রেম-ভালোবাসা এসবগুলিই মানুষের ভেতরে কবিতার জন্ম দেয়। আমিও তার ব্যতিক্রম নয়। সর্বোপরি প্রেমই আমাকে অনাহুত কবি বানিয়েছে।

নতুন ফেনী: শৈশব-কৈশোরের কোন স্মৃতি মনে পড়ে?
মাহবুব আলতমাস: কৈশোরে একদিন মাঈন উদ্দিন (সেলিম আল দীন) দু’চারজন বন্ধুবান্ধব নিয়ে আমাকে বাজারে খুঁজে বের করে বললো-তোমার একটি সুখবর আছে, মিষ্টি খাওয়ালে বলবো। এ নিয়ে অনেক কথাবাজির পরে আমি রাজি হতেই লাল ঠোঙ্গা মোড়ানো একটি খবরের কাগজ বের করলো। ওখানে আমার একটি কবিতা বের করে দিলো। জানালো যে, তার বাবা চট্টগ্রাম থেকে চিনি বেঁধে যে দৈনিক আজাদী এনেছে, তা থেকেই সে কবিতাটি উদ্ধার করেছে। চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীতে যে পত্রিকাটি ছাপা হয়েছে, তা আমি আগে জানিনি। কবিতাটি পেয়ে এতই বেশি আনন্দিত হয়েছিলাম যে, সে আনন্দ এখনও আমি অনুভব করি। তবে তখন তাদের কাছে প্রকাশ করিনি। সে স্মৃতি আজো আমায় সুখ দেয়। এক বন্ধু সেদিন বলেছিলেন চিনির ঠোঙ্গায় মাহবুব আলতমাসের কবিতা। সে স্মৃতিগুলো আজো চোখে ভাসে।

নতুন ফেনী: আমরা জানি যে আচার্য্য সেলিম আল দীন আপনার বাল্যকালের বন্ধু ছিলেন। তাঁকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মাহবুব আলতমাস: সেলিম আল দীন ও আমি এক গ্রামের অধিবাসী। ফেনীর সেনেরখিলে। তারুণ্যের টগবগে অধিকাংশ সময় সেলিমের সাথে কেটেছে। পুরনো দিনের ভোরের বাজার বা রাজার বাজার আজকের নতুন বাজারে আড্ডায় চলে যেত। কখনো গিয়াস উদ্দিন স্মৃতি সংঘে, কখনো কামিনী আশ্বিনীর চা-দোকোনে। সেলিম যখন মঙ্গলকান্দি স্কুলে পড়ে তখন আমি চাকুরীজীবি, আমরা সম্পর্কে আমরা চাচা-ভাতিজা হলেও বন্ধু ভাবাপন্ন ছিলাম। নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন বাঙলা সাহিত্যে ব্যতিক্রমী এক বড় লেখক। সাধারণ পাঠক পড়ে তাকে বুঝা কঠিনই। আগামী দিনে তার মূল্যায়ণ হবে ঈর্ষাতীত। প্রথম কবিতা লেখার সময় হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সূর্যসেন হলে নির্মলেন্দু গুণ, সাজ্জাদ ও নুরনবীসহ একত্রে বসবাসের সময় থেকে একটি ভালো কবিতা লেখার উদগ্রীব ইচ্ছা তাকে তাড়িয়ে বেড়াতো। কবিতা লিখে ভালো না লাগলে ছিঁড়ে ফেলতো সে। শেষে নাটক, উপন্যাস, গান, কবিতা ও নৃত্যে ও আচার্য্য হয়ে বাঙলার সোঁদা মাটিতে নিজ কৃতিত্বের সাক্ষর রেখে বাঙালিকে চিরজীবনের জন্য ঋণী করে গেলেন। তিনি হলেন আমাদের নাট্যদেবতা।

নতুন ফেনী: সারাজীবনতো কবিতার চর্চা করেছেন, আপনার দৃষ্টিতে কবিতার আসলে কি?
মাহবুব আলতমাস: কবিতা আমার প্রেম-ভালোবাসা। কবিতা সুন্দরের কামনা করে, কবিতা সত্যানুসন্ধান। কবিতা পথ-পাথেয় ঠিকানা প্রদান করে। কবিতা মানুষের মনে জাগরণ ঘটায়। প্রেমের কবিতা, বিদ্রোহের কবিতা, কবিতার মাধ্যমে প্রকৃতির জয়গান করা হয়, কবিতা পাঠকের হৃদয়ে স্বতঃস্ফূর্ত উল্লাস সৃষ্টি করে, স্বপ্নের বুনন করে, কবিতা সুকুমার বৃত্তির শেকড়, এতসব কাব্য ভাবনায় আমি নিরন্তর মানুষের মনের মাঝে পঙক্তির পদচারণার সেতু বন্ধনের সাঁকো তৈরী করেছি এবং এখনো অব্যাহত করে চলেছি। কবিতা মানুষের সুখানুভূতির চৌকাঠ, কবিতা আপন মনে কথা কয়। কবিতা সুর-সঙ্গীতের অনুপম সৌন্দর্য্য। কবিতা মানুষের মধ্যে জাগরণের মূলমন্ত্র।

নতুন ফেনী: তথ্য-প্রযুক্তির এ কালে কবিতা কি কখনো হারিয়ে যাবে বলে মনে হয়?
মাহবুব আলতমাস: কবিতা কখনো হারাবে না। এটি চিরজীবনের কবিতা নামটি বাঙালির হৃদয়ে সর্বদা ঘন্টা বাজায়। প্রযুক্তির যতই উৎকর্ষই ঘটুক না কেন, কবিতা সর্বদা জনপ্রিয় থাকবে। জীবনের বহুমাত্রিকতাই প্রকৃতি, প্রকৃতিতে জীবনের বহিঃপ্রকাশের প্রচারণার অন্যতম একটি মাধ্যম হলো কবিতা। কবিতা সভ্যতা নির্মাণের হাতিয়ার। কবিতা কখনোই হারাবে না বলে আমার বিশ্বাস। কবিতা হারিয়ে গেলে সভ্যতার গতি থেমে যাবে।

নতুন ফেনী: আপনি জানেন যে, ২০০৮ সালের শেষের দিকে জেলা পরিষদ শহিদ জহির রায়হান মিলনায়তনটি ভেঙে সেখানে আরো বেশি আসনের একটি আধুনিক ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। বারবার এটি পুনঃনির্মাণের জন্যে দাবী করা হলে প্রশাসন কোন নজর দিচ্ছে না?
মাহবুব আলতমাস: এটা ঠিক যে, জহির রায়হান হলটি ফেনীর সাংস্কৃতি অঙ্গনের কেন্দ্রবিন্দু। একটি আধুনিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনার কথা বলে ফেনী জেলা পরিষদ প্রায় পাঁচ বছর আগে এটি ভেঙ্গে ফেলে। কিন্তু পুনঃনির্মাণ শুরু করা দূরের কথা, ভবনের নকশাও অনুমোদন হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। মিলনায়তনকে ঘিরে ফেনীর ডজনখানেক সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয় ছিল। নিয়মিত নাট্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা হতো, হতো মহড়া। ভবন ভেঙ্গে ফেলায় বেশিরভাগ সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিসগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এখন অফিস বা মহড়াকক্ষের অভাবে ফেনীর সাংস্কৃতিক চর্চা যেন অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়ে। আমি আহবান জানাব জেলা পরিষদ-প্রশাসনের প্রতি- যাতে ভবনের নির্মাণ কাজের সূচনা করে। দিনে দিনে আমরা আশাহত হচ্ছি। কর্তৃপক্ষের উপর ভরসা হারিয়ে ফেলেছি।

নতুন ফেনী: বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মাহবুব আলতমাস: বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা। কিংবদন্তী এ নেতার সাথে বাংলার আকাশ-বাতাস এর সাথে তাঁর সম্পর্ক। মহীয়ান গরীয়ান বাঙালি মানুষের এ নেতা বাঙালির মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবে বলে আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশ আমার বুক পকেটে সূর্যতলে লালন করে। কবিতার পঙক্তির পর পঙক্তি সাজাই নিরন্তর। তিনি বাঙালির অন্যতম চেতনার অংশ। তিনিই বাঙালিকে স্বপ্নে দেখালেন যে স্বপ্নের সোনার বাংলায় থাকবে না কোন হানাহানি, অরাজকতা, দুর্নীতি,সাম্প্রদায়িকতা ও দুঃখের অনামিশা।

নতুন ফেনী: সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গীবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি হতে পারে বলে মনে করেন?
মাহবুব আলতমাস: জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। জঙ্গিবাদের হিং¯্র থাবা থেকে মুক্ত হতে হলে সমগ্র জাতিকে সচেতনতায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে কাঁদা ছোড়াছোড়ি বন্ধ করে কাজ করা উচিত। দেশের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ও সাহিত্যের প্রচারে নিমগ্ন হতে হবে। শহরে-গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগুলোতে সংস্কৃতির জোয়ার বয়ে দিতে হবে। যেমন ফেনী জেলা সদরে বর্তমানে সম্মিলিত সাস্কৃতি জোটের ৪৩টি সংগঠন রয়েছে। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এ সংগঠনগুলো যথার্থ সাংস্কৃতিক চর্চা অব্যহত রাখতে পারছে না। জেলার স্কুল কলেজগুলোতে বলতে গেলে সারা বছর কোন সাংস্কৃতিক চর্চা হয় না। সাংস্কৃতিক চর্চা ব্যতিত শিশু কিশোরদেও সুকুমার বৃত্তির চর্চা আজকে থেমে গেছে। বর্তমানে এ সাংস্কৃতিক চর্চাকে জাগিয়ে তুলতে হলে আমাদের জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ প্রশাসন, পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ জেলার তিনজন মাননীয় সংসদ সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক চর্চার জোর প্রবাহ সৃষ্টি করে জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় নিয়োজিত হতে হবে। শুধু মানববন্ধনে এক ঠেকানো যাবে না। ট্রাকে ট্রাকে ব্যানার ঝুলিয়ে দেশাত্ববোধক গান, সঙ্গীত আবৃত্তির মাধ্যমে সারা জেলার আনাচে কানাচে মাসব্যাপী র‌্যালি করতে হবে। এভাবে সব জেলা কাজ করলে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব নিঃশেষ হয়ে যাবে। আমাদের দেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক চর্চার জোর প্রবাহ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে দেশের সকল মানুষকে প্রগতির আলোক বার্তিকার নিচে সমবেত করতে হবে। সাংস্কৃতিক চর্চা- যাত্রাগান, নাটক, নাচ, গান কবিগান, জারিসারি, ভাটিয়ালী, পল্লীগীতি, লালন ও বাউল, সব ধর্মের ও সব মতাদর্শেও মানুষদের সবাইকে জাগিয়ে তুলতে হবে। মিডিয়াকে বাঙালির শিকড় সন্ধানে কবিতা, গল্প, ইত্যাদি সাহিত্য সম্ভার প্রচারে জাগিয়ে তুলতে হবে। আমাদের ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া সহজে এসব আলোচিত বিষয়গুলোকে ভিত্তি করে বাংলার গ্রামীণ লোকজ শিল্প সাহিত্য বেশী বেশী করে প্রচার করতে হবে। এভাবে জাতিকে অন্ধকার গহ্বর থেকে আলোকিত পথের সন্ধান দিতে হবে। নিশ্চয়ই এ পথে ধর্মান্ধ, বিভ্রান্ত যে সব অল্পসংখ্যক তরুণরা দেশপ্রেমের চেতনায় ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আলোকে মূলধারায় ফিরে আসতে বাধ্য হবে। এভাবে এগুতে পারলে জঙ্গিবাদের জ-ও থাকবে বলে মনে হয় না।

নতুন ফেনী: ব্যাক্তিজীবনে কোন হতাশাবোধ কাজ করে?
মাহবুব আলতমাস: অবশ্যই না, আমার কোন হতাশা নেই। আমি সাহসের দৌর্দন্ডে প্রতাপে হতাশার গলা টিপে তাকে হত্যা করেছি। আমার জীবনে কোন পিছুটান নেই। আমি সাহসী ও উদ্যমী। কর্মের মাঝে আমি বেঁচে থাকতে চাই।

নতুন ফেনী: নিজের লেখালেখিকে কিভাবে মুল্যায়ন করবেন?
মাহবুব আলতমাস: মুল্যায়ন আমার বিষয় নয় তা পাঠকরাই করবে। অবশ্যই আমার বিশ্বাস আমার গল্প কবিতা পাঠককে আকৃষ্ট করবে। পাঠক আমার কবিতা-গল্প পড়বে হয়ত সেদিন আমি থাকব না।

নতুন ফেনী: কখনো কি প্রেমে পড়েছিলেন। প্রেম আসলে কি?
মাহবুব আলতমাস: অবশ্যই প্রেম করেছি। মধ্যবিত্ত মানসিক দোদুল্যমানতায় তা ব্যর্থ হয়েছে। এখনও আমি নিরন্তর প্রেমের পানসি বাতাসে উড়াই। প্রেমই আমার কবিতার অন্যতম প্রধান উপজীব্য। চূড়ান্ত অর্থে আমি বহুবার কবিতার প্রেমে পড়েছি।

নতুন ফেনী: একটি জাতির জন্য সাহিত্য সংস্কৃতির কেমন প্রয়োজন আছে?
মাহবুব আলতমাস: সংস্কৃতি জীবনের খুবই গুরুত্বপুর্ণ অংশ। সংস্কৃতি বা কালচার একটি জাতীর পরিচয়। সংস্কৃতি সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়। ব্যক্তির সার্বিক সুস্থতা ও ক্রমপ্রবৃদ্ধির জন্যে তার দেহ ও প্রাণ বা আত্মার ভারসাম্যপূর্ণ উৎকর্ষ একান্তই জরুরী। এ যেমন সত্য, তেমনি একটি জাতির উন্নতি তখনি সম্ভব, যখন তার সংস্কৃতি ও সভ্যতা পুরোপুরি সংরক্ষিত হবে। কেননা সংস্কৃতি হচ্ছে প্রাণ আর সভ্যতা হচ্ছে দেহ।

নতুন ফেনী: আপনার প্রিয় লেখক কারা?
মাহবুব আলতমাস: সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, ড. সেলিম আল দীন, কবি রফিক আজাদ, তরুণদের মাঝে কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান, কবি শাবিহ মাহমুদ প্রমুখ ।

নতুন ফেনী: বাম রাজনীতির সাথেওতো যুক্ত ছিলেন?
মাহবুব আলতমাস: জীবনের প্রথম সময়ে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম। চট্টগাম কলেজে থাকাকালিন মার্কসবাদ পড়ার পর বুর্জোয়া রাজনীতির অসারতায় হতাশ হয়ে মার্কসবাদী রাজনীতিতে জড়িয়ে গেছে।

নতুন ফেনী: তরুণদের উদ্দেশ্যে কোন উপদেশ?
মাহবুব আলতমাস: তরুণরা জাতির আলোকবর্তিতা ও বিনির্মাতা। তারা জাতির পথের দিশারী। তাদের নিয়ে আমি সর্বদা আশাবাদী। তরুণদের খুব বেশি করে পড়াশুনা করতে হবে। পৃথিবীতো এখন সবার জন্যে উন্মুক্ত। তবে ভয় কিসে, তরুণদের মাধ্যমে প্রিয় মাতৃভূমির থেকে বিদূরিত হবে সকল কালিমা, অপভ্রংশ, মূঢ়তা, জীর্ণতা, অবিশ্বাস বৈষম্য, স্বেচ্চাচারিতা, হিং¯্রতা, পরশ্রীকাতরতা, কর্মবিমুখতা, হানাহানি, প্রতিহিংসা ও অবিমৃশ্যকারিতা। ফলশ্রুতিতে রচিত হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের জন্য একটি স্বপ্নীল নিরাপদ বাসভূমি। খুঁজে পাব মানব সেবা ও দেশ গড়ার পাথেয়। তাদের মাধ্যমে ভবিষ্যত নির্মাণ হবে।

নতুন ফেনী: মুত্যু ভয় কি কখনো তাড়িত করে?
মাহবুব আলতমাস: মৃত্যুতে আমার ভয় নেই। মৃত্যু স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। সময় আসলে চলে যেতে হবে নির্দ্ধিধায়। তবে মনে রেখো, কবির মৃত্যু নেই। মৃত্যু কবিদের কিছু যায় আসে না।

আপনার মতামত দিন

[…] post আমার জীবনে কোন পিছুটান নেই appeared first on নতুন […]

-->
Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.
extrabet güncel giriş extrabet giriş extrabet extrabet giriş extrabet grandpashabet grandpashabet güncel giriş grandpashabet giriş grandpashabet betasus güncel giriş betasus giriş betasus betasus matadorbet güncel giriş matadorbet giriş matadorbet matadorbet casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom pusulabet giriş pusulabet pusulabet giriş pusulabet pusulabet giriş pusulabet pusulabet giriş pusulabet betpark giriş betpark betpark güncel giriş betpark giriş betpark betasus güncel giriş betasus giriş betasus betasus matadorbet güncel giriş matadorbet giriş matadorbet matadorbet sahabet güncel giriş sahabet giriş sahabet sahabet betvole giriş betvole betvole giriş betvole betvole giriş betvole betvole giriş betvole marsbahis güncel giriş marsbahis giriş marsbahis grandpashabet grandpashabet güncel giriş grandpashabet giriş grandpashabet sekabet güncel giriş sekabet giriş sekabet sekabet pusulabet giriş pusulabet pusulabet giriş pusulabet onwin onwin güncel giriş onwin giriş onwin casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom marsbahis güncel giriş marsbahis giriş marsbahis casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom betebet giriş betebet meritking giriş meritking giriş casibom giriş casibom giriş onwin onwin güncel giriş onwin giriş onwin casibom giriş casibom giriş betebet giriş betebet güncel giriş betebet giriş betebet iptv iptv satin al iptv satin al iptv casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom giriş casibom güncel giriş casibom güncel giriş casibom giriş casibom bets10 giriş bets10 bets10 giriş bets10 iptv iptv satin al iptv satin al iptv casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom betebet giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom giriş casibom güncel giriş casibom güncel giriş casibom giriş meritking giriş meritking meritking giriş meritking casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom güncel giriş casibom giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom iptv iptv satin al iptv satin al ip tv casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom padisahbet güncel giriş padisahbet giriş padisahbet padisahbet vdcasino güncel giriş vdcasino giriş vdcasino vdcasino casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom ip tv satin al ip tv casibom güncel giriş casibom giriş casibom jojobet jojobet giriş jojobet jojobet giriş jojobet jojobet casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom jojobet casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom jojobet jojobet güncel giriş jojobet giriş jojobet casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom jojobet jojobet güncel giriş jojobet giriş jojobet casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom casibom casibom güncel giriş casibom giriş casibom