সরকারী হচ্ছে দাগনভূঞার ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ • নতুন ফেনীনতুন ফেনী সরকারী হচ্ছে দাগনভূঞার ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ • নতুন ফেনী
 ফেনী |
২০ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারী হচ্ছে দাগনভূঞার ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ

রাশেদুল হাসানরাশেদুল হাসান
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৮:২৪ অপরাহ্ণ, ১২ জুলাই ২০১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক>>
জাতীয়করণ (সরকারি) করা হচ্ছে দাগনভূঞার ঐতিহ্যবাহী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান  ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ । কলেজটি জাতীয়করন করা হচ্ছে এসংবাদ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে আনন্দে উচ্ছ্বাসিত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ১৯৮৩ সালে দাগনভূঞার কৃতিসন্তান এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু তার ছোট ভাই ইকবালের নামে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর দাগনভূঞাসহ পার্শ্ববর্তী সেনবাগ ও কোম্পানীগঞ্জ থেকে শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহনে আর দূরদূরান্তে ছুটতে হয়নি। কলেজ প্রতিষ্ঠার পর উন্নত হতে থাকে দাগনভূঞার জীবনযাত্রার মানও। উচ্চ শিক্ষার প্রতি আগ্রহী হতে থাকে এখানকার  শিক্ষার্থীরা। দিন দিন বাড়তে থাকে কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। কলেজ প্রতিষ্ঠার কয়েকবছর পর থেকে দাবী উঠে কলেজটি জাতীয়করনের। এদাবীতে কলেজ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধনও হয়েছে কয়েকবার। এবং এটি দাগনভূঞা এলাকার সুবিধাবঞ্চিত কৃষক শ্রমিক গরিব দুখি মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। কিন্তু বিগত কোন সরকারই এদাবিকে আমলে নেয়নি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্বাচনী অঙ্গিকারের অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক উপজেলা অন্তত একটি করে কলেজ জাতীয়করনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। সরকারের এসিদ্ধান্তে আশান্বিত হয়ে কলেজের শিক্ষক পরিষদের নেতৃবৃন্দ ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন যে সরকারের সিদ্ধান্তনুযায়ী জাতীয়করনেরর প্রথম দাফে কলেজটি সরকারীকরনের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার আশ্বাস প্রদান করেন। পরবর্তিতে সরকারি করনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেও অদৃশ্য কারনে চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাওয়ায় জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর ডিওলেটার সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন নাসিম এবং প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি জাহাঙ্গির আলম ও দাগনভূঞার কৃতি সন্তান জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের উপসচিব মনির হোসেনের  সর্বাত্মক সহযোগীতায় জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন চূডান্ত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট  নিশ্চিত করে। এবং গত মাসেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জাতীয়করনের জন্য আরো ১শ’ ৯৯টি কলেজের সাথে ইকবাল কলেজের নামও ঘোষণা করা হয়।
এ প্রসঙ্গে জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন জানান, তিনি কলেজের শিক্ষকদের সর্বাত্মক যোগাযোগ এবং  দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতনের অনুরোধে এবং ওই উপজেলার গরীব ছাত্রছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে বিষয়টি  তিনি বিষয়টি গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করে কলেজটি জাতীয়করনের জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করেন। তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে কলজটিতে অনার্স কোর্স চালু হবে বলেও আশ্বস্ত করেন।
কলেজটি জাতীয়করন হওয়ার সিদ্ধান গ্রহন করায় দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
সম্পাদনা: আরএইচ/ইআর

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.