ফেনীর সোনাগাজীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ছালাহ উদ্দিন বাবুল (৪৮) নামের এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত ১০ টার দিকে মতিগঞ্জ ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। ওই শিক্ষকের পরিবারে আরো ৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও নিহত শিক্ষকের পরিবার জানায়, ২ জুন ওই শিক্ষকের পরিবারের ৪ সদস্যের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। ৪ জুন বাবুল মাষ্টারের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়। সেই থেকে ওই পরিবারের আক্রান্ত ৫ সদস্য দৌলতকান্দি গ্রামের ভেন্ডার বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। উপজেলা প্রশাসন বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করে তাদের খাবার ও পথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করে আসছিলো। স্বাস্থ্য বিভাগও নিয়মিত সেবা দিয়ে আসছিলো ওই পরিবারের সদস্যদের। রবিবার রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে বাবুল মাষ্টারের মৃত্যু হয়। রাত দেড়টার দিকে লাশ দাফন দল এসে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।
স্থানীয়রা জানান, বাবুল দীর্ঘ দিন ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর চৌধূরী পাড়া হুমায়রা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষক ছিলেন। তিনি মতিগঞ্জ আর এম হাট কে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মরহুম আবদুল ওহাবের কনিষ্ঠ ছেলে। ব্যক্তিগত জীবনে ২ ছেলে ১ মেয়ে জনক। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মতিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান বাবু মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একই পরিবারের ৫ সদস্যের দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে আমরা সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করেছি। কিন্তুু ছালেহ উদ্দিন বাবুলকে বাচানো গেলোনা।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ফেনীতে এ পর্যন্ত ৪৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১১২ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ১১ জন মারা গেছেন। সর্বাধিক ঝুকিপূর্ণ ৮টি এলাকায় লকডাউন কার্যকর করা আছে।
সম্পাদনা: এনকে/আরএইচ