ফেনীতে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ নতুন করে ৫৫ জনের দেহে নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের করোনা নমুনা পরীক্ষাগার থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ২০ জন, সোনাগাজীতে ২৬ জন, পরশুরাম ৮ জন ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় ১ জন রয়েছে।
জেলা করোনা নিয়ন্ত্রণকক্ষের সমন্বয়ক ডা. শরফুদ্দিন মাহমুদ জানান, ফেনীর ৬টি উপজেলায় এ পর্যন্ত ৪৬৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০১ জন। মারা গেছে ৯ জন। বর্তমানে হোম আইশোলেশন ও করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধিন আছেন ৩৫৫ জন।
তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত ফেনীতে করোনা উপসর্গে আক্রান্ত ৩ হাজার ২০৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশান্স ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এর বিপরীতে পরীক্ষাগার থেকে ২ হাজার ৬৮৮ জনের ফলাফলে ৪৬৬ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত ৫২১টি নমুনার ফলাফল অপেক্ষমান রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়,পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টো এবং ওই ইউপির ৩ জন সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের দেহে তেমন কোন উপসর্গ দেখা যাচ্ছেনা। বর্তমানে ১৩ জন করোনা রোগী ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। অন্যরা স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে হোম আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ১০জনকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। করোনায় এখন পর্যন্ত জেলায় ৯জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ১০১জন।
এপর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ৪৬৬ রোগীর মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ১৭১ জন, সোনাগাজীতে ৮৩ জন, দাগনভূঞায় ১০৮ জন, ছাগলনাইয়ায় ৬২ জন, ফুলগাজী ১০ জন ও পরশুরামে ২৩ জন এবং অন্যান্য জেলার ৯ জন রোগী রয়েছে।
সম্পাদনা: এনকে/আরএইচ