পরিকল্পিত ফেনী নগরী গড়ার প্রস্তাব নিয়ে প্রকাশ হয়েছে ‘নবীনচন্দ্র সেন : চিন্তা দর্শন’ গবেষণাগ্রন্থ। গত রোববার সন্ধ্যায় ফেনীতে নবনির্মিত নবীনচন্দ্র সেন কালচারাল সেন্টারে গ্রন্থটির মলাট উন্মোচন করেন বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো: ওয়াহিদুজজামান। ফেনী জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রকাশিত ও কবি-সাংবাদিক শাবিহ মাহমুদ সম্পাদিত গবেষণাগ্রন্থ ‘নবীনচন্দ্র সেন : চিন্তা দর্শন’ মলাট উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ মঞ্জরুুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীর সুলতানা, গ্রন্থের লেখক কবি শাবিহ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন শাহীন, নবীনচন্দ্র সেন পাবলিক লাইব্রেরির সম্পাদক জসীম উদ্দীন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটে-ফেনীর সম্পাদক সমর দেবনাথ প্রমুখ।
সহকারী কমিশনার এনএম আবদুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিদায়ী জেলা প্রশাসক ও গ্রন্থের প্রকাশক বলেন, নবীনচন্দ্র সেন ১৮৮৪ সালে ফেনী মহকুমা প্রশাসক হয়ে এসে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নয়ন করেন। এর আগে ১৮৭৬ সালে মহকুমা প্রতিষ্ঠায় তিনি সরাসরি ভূমিকা রাখেন। দুঃখের বিষয় রাজাঝি দিঘির উত্তর দিকে নবীনচন্দ্রের স্মৃতিধন্য বাসভবনটি ফেনী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন নামের প্রতিষ্ঠানটি এক বছরের লিজ নিয়ে অবৈধভাবে এক যুগ ধরে দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে।
গ্রন্থের সম্পাদক শাবিহ মাহমুদ বলেন, নবীনচন্দ্র সেনের বিবিধ উন্নয়নকে একটি দার্শনিক ভিত্তিতে এই প্রথম বারের মত আলোতে আনা হল। তাঁর উন্নয়ন থেকে প্রেরণা নিয়ে ফেনীকে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসাবে গড়ে তোলার সময় এসেছে। পাশাপাশি কবির স্মৃতিধন্য স্থানগুলো সংরক্ষণেরও দাবি জানান শাবিহ মাহমুদ। উল্লেখ্য, বাংলা সাহিত্যে প্রখ্যাত কবি নবীনচন্দ্র সেন ১৮৪৭ সালে চট্টগ্রামের রাউজানের নয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯০৯ সালে মারা গেছেন। নবাব সিরাজ উদ দৌলাকে নিয়ে কবি প্রথম ‘পলাশীর যুদ্ধ’ নামে কাব্য লিখেছেন।