একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও শিক্ষক ড. ইনামুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, নাট্যাঙ্গনে ইনামুল হকের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে বেইলি রোডের নিজ বাসায় মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
অভিনেতা শহীদ আলমগীর আরও, তিনি বর্তমানে মরদেহের সঙ্গেই আছেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কোয়ান্টাম সেন্টারে তার শেষ গোসল করানো হচ্ছে। এরপর মরদেহ বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। তবে কোথায় দাফন হবে, কখন জানাজা হবে, এসব এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।
উল্লেখ্য, দেশের অভিনয় জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র ড. ইনামুল হক। ফেনীতে জন্মগ্রহণ করা এই ব্যক্তিত্ব পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৫ সালে প্রভাষক হিসেবে বুয়েটের রসায়ন বিভাগে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি সহকারী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।
ড. ইনামুল হকের অভিনয় জীবন শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের সময়। জনগণকে আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য নাটকের পথ বেছে নেন তিনি। একাত্তরে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে ঘুরে ঘুরে পথনাটক করেছেন। পরবর্তীতে তিনি টিভি নাটক, সিনেমা এবং ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে অভিনয় করে দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
২০১২ সালে ড. ইনামুল হক একুশে পদক লাভ করেন। ২০১৭ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে সরকার।
সম্পাদনা:আরএইচ/এইচআর