নতুন ফেনী ডেস্ক>>
আজ ২০ মে।আলোচিত ফুলগাজী উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যার এক বছর পুর্ণ হলো। নানা আশ্বস-প্রম্বাসের পর শেষ হবার নয় পরিবারের আকুতি। বিছানা পরিপাটি, পোশাক-আশাকও রয়েছে আলনায় সাজানো, সবকিছুই রয়েছে আগের মত নেই শুধু পরিবারের মধ্যমনি। হত্যাকান্ডের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে আজ। তার কথা মনে উঠতেই গুমরে কেঁদে উঠেন স্ত্রী তাসনিম আক্তার। শহরের মাষ্টার পাড়ার বাসায় কথা বলতে চাইলে তাসনিম কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলেন। তিনি বলেন, আমাদের খোঁজ এখন আর কেউ নেয়না। মর্মন্তুদ এ হত্যাকান্ডে সুবিচার নিয়ে সংশয় এ পরিবারের সদস্যদের। স্ত্রী তাসনিম বলেন, আমরা আল্লাহর কাছে বিচার চাই। ফেনীর আকাশ-বাতাস, বালুকনা সবাই জানে কে এ ধরনের বর্বর হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে জানিয়ে বলেন, প্রতিটি মূহুর্ত আতংকের মধ্যে দিন কাটছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সরকার আমাদের নিরাপত্তা দিলে একরামের খুনীদের আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে দিতে পারব।
ছোট্ট শিশু লামিরা জানেনা তার বাবা চলে গেছে না ফেরার দেশে। তাসিন ও ফুলও অপেক্ষায় থাকে বাবা ফিরে আসার। বাবার কথা মনে পড়লেই দেয়ালে সাঁটানো ছবির দিকেই ছুটে যান শিশু সন্তান তাসিন, ফুল ও লামিরা। এ্যালবামের ছবি বুকে নিয়ে কখন বাবা আসবে এমন প্রতিক্ষার প্রহর গুনছে অবুঝ তিন সন্তান। বাবা আসবেনা এমনটি বড় সন্তান তাসিন কিছুটা বুঝলেও অন্যরা তা জানেনা। বাবার ছবি হাতে নিয়ে চুমু খায়, আদর করে। স্বামী হারা তাসনিমও অবুঝ সন্তানদের নানাভাবে বাবার শূন্যতা বুঝতে না দেয়ার চেষ্টা করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ মে সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটের দিকে ফেনী শহরের মিজান রোডস্থ ডায়াবেটিস হাসপাতাল থেকে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের একটি সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে বের হন একরাম। শহরের বিলাসী সিনেমার নিকট পৌছলে প্রথমে একটি ময়লার ট্রলি দিয়ে তাকে বহনকারী প্রাডো গাড়ীর গতিরোধ করার চেষ্টা করে দূর্বৃত্তরা। ট্রলিটি চাপা দিয়ে পার হওয়ার সময় গাড়ীটির এক চাকা সড়ক ডিভাইডারের সাথে ধাক্কা খেয়ে উপরে উঠে যায়। এসময় চতুর্দিক থেকে গুলি ও বোমা ফাটিয়ে একদল দুস্কৃতিকারী তার গাড়িটি ঘেরাও করে। শুধু তাই নয়, গুলি করে হত্যার পর তাকে বহনকারী গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয়।
ভিডিও:
https://www.youtube.com/watch?v=u4aqWbw3UXw&feature=youtu.be
সম্পাদনা: আরএইচ