নুসরাত হত্যা মামলা: ৪৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন • নতুন ফেনীনতুন ফেনী নুসরাত হত্যা মামলা: ৪৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন • নতুন ফেনী
 ফেনী |
২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নুসরাত হত্যা মামলা: ৪৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিনিধিনিজস্ব প্রতিনিধি
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৭:৫৫ অপরাহ্ণ, ২৪ জুলাই ২০১৯

সোনাগাজীর ইসলামীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলীম পরিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে আরো ৬জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।

আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌঁসূলী হাফেজ আহাম্মদ বলেন, ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে সোনাগাজী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ রেজা মো. এনামুল হক চৌধুরী, স্থানীয় একটি মসজিদেও ইমাম হাফেজ মোবারক হোসেন, মো. ইব্রাহিম, দোকানী মো. নুর উদ্দিন ও আকরাম হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহন ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরো চারজনের সাক্ষ্য গ্রহন করার কথা রয়েছে। এরা হলেন এমদাদ হোসেন পিংকেল, মো. শাহজাহান, মো. আবুল কাশেম, মো. সেলিমুর রেজা। এ নিয়ে মামলার ৪৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন সম্পন্ন হল।

তিনি আরো বলেন, ৬ এপ্রিল ঘটনার দিন অথ্যাৎ সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নুসরাত কিলিং মিশনে জোবায়েরের ব্যবহৃত বোরখা পুলিশ জব্দ করেছিলো তা সাক্ষীরা আজ আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন। পুলিশ ওই বোরখা খাল থেকে জব্দ করার বিষয় সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এর আগে গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। পরে রাফির বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠি নাসরিন সুলতানা, মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিন, নৈশ প্রহরী মো. মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকা দোকানদার জসিম উদ্দিন, দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদ, নুসরাতের ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান, জহিরুল ইসলাম, হল পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, নুসরাতের মা শিরিন আখতার, শিক্ষক আবুল খায়ের, মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি সাবেক সদস্য শেখ আবদুল হালিম মামুন, সোনাগাজী মাদ্রাসার দপ্তরী মো. ইউসুফ, সোনাগাজী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হোসাইন, সোনাগাজী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন, এ্যাম্বুলেন্স চালক নুরুল করিম, সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব মাওলানা নুরুল আফসার ফারুকী, সোনাগাজী মাদ্রাসার ছাত্রী তানজিনা বেগম সাথী, মাদ্রাসা ছাত্রী বিবি জাহেদা বেগম তামান্না, মাদ্রাসার বাংলা বিভাগের প্রভাষক খুজিস্তা খানম, আয়া বেবী রাণী দাস, সহপাঠী আকলিমা আক্তার, কায়সার মাহমুদ, মাদ্রাসার ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার হামদুনা, নাসরিন সুলতানা, হল পরিদর্শক কবির আহম্মদ, তাহমিনা আক্তার, বিবি হাজেরা, আবু বকর সিদ্দিক ও স্থানীয় বাসিন্দা মো. আকবর হোসেন, ফজলুল করিম, রাবেয়া আক্তার, মোয়াজ্জেম হোসেন, জাফর ইকবাল, প্রফেসর মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী, হাফেজ মোবারক হোসেন, মো. ইব্রাহীম, রেজা মো.এনামুল হক, মো. নুর উদ্দিন, আকরাম হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা শেষ হয়।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়ের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১৬ জনের সর্বেচ্চ শাস্তি দাবী করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ মামলায় মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.