নিজস্ব প্রতিনিধি>>
ফেনীতে নদী ও খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদে নামছে জেলা প্রশাসন। সোমবার গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ কথা জানান। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসন শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, অবৈধ দখলদার যত শক্তিশালী হোক এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাঘাটও পানি নেমে গেলে সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এ দিকে ফেনী শহরসহ জেলায় নদী ও খালের উপর অবৈধ দখলে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানি আটকে আছে। ফেনী শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে খাল, জলাধার ও লেক দখল করার ফলে পানি নিষ্কাষণ ব্যবস্থা থমকে যায়। এতে লোকালয়ে তীব্র জলজট সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগীরা জানায়, এক শ্রেনীর অসাধু ব্যাক্তিরা ফেনী শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে দাউদপুর ব্রীজ পর্যন্ত খাল, পাগলির ছড়া খাল, খাজা আহম্মদ লেক দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে।
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসব অসাধু চক্র লাভবান হলেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্যাপক জনগোষ্ঠির জীবন। অবৈধ দখলে গিলে খেয়েছে ছোট ফেনী নদীর নাব্যতা। এছাড়া জেলার সবক’টি খাল দখল অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, করে মাছ চাষ, রাস্তা পারাপারের কারণে পানি নামতে পারছে না। স্থানীয়রা জানায়, টানা বৃষ্টিতে ফেনী শহরে এমন জলবদ্ধতা চল্লিশ বছরেও দেখেনি। রাস্তাঘাটসহ মানুষের বাসা-বাড়ীতেও এ প্রথম বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়।
ফেনী পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোসলেহ উদ্দিন হাজারী বাদল নতুন ফেনী’কে জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।
সম্পাদনা: আরএইচ