ছবি: সংগৃহিত
নিজস্ব প্রতিনিধি>>
ফেনীতে মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে আহত ফেনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হায়দার মারা গেছে। রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মামলার এজহার ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ দিন থেকে পৌরসভার সুলতানপুর ও সৈয়দনগরে মাদক ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে দু‘গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিলো। বৃহস্পতিবার সৈয়দগরের রনি ও কবির সহ ৪/৫ জন সুলতান পুরের মেথড কোয়ার্টারে মাদক ক্রয় করতে গেলে পূর্বের দেন পরিশোধ নিয়ে দু‘গ্রুপের মধ্যে বাকবিতন্ডা লেগে যায়। এক পর্যায়ে মাদক না দিয়ে রনি ও কবিরকে চড় থাপ্পড় দেয় মাদক বিক্রেতা যুবলীগ কর্মী আনোয়ার গ্রুপের লোকজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার দুপুরের দিকে ফারুক, হায়দার, শাহজাহান, কবির ও নুর উদ্দিন সহ ৮/১০ জন মেথড় কোয়ার্টারের আনোয়ারের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ খবর চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লে আনোয়ার, রাজু, একরাম ও হান্নানসহ অন্যান্যরা সংগঠিত হয়ে উল্টো হামলা চালাতে থাকে। হামলায় ফারুক, হায়দার শাহজাহানসহ বেশ কয়েকজন মারাত্মক আহত হয়। পরে আহতদেরকে ফেনী সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারুক ও হায়দারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। চিকিৎসাধিন অবস্থায় আবদুল গফুরের ছেলে হায়দার রবিবার রাত আড়াইটার দিকে মারা যায়। হামলার ঘটনায় আহত রনির ভাই রবিউল হক বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১৫ জনের নাম ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হলো, মাহবুবুল হকের ছেলে যুবলীগ কর্মী আনোয়ার, আইয়ুবের ছেলে রাজু, স্বপনের ছেলে একরাম, ইব্রাহীমের ছেলে হান্নান, রুহুল আমিনের ছেলে শামীম, আবদুল হকের ছেলে দুলাল ও শেখ আহাম্মদের ছেলে বাবলু। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার ওমর ফারুক মজুমদার জানান, হামলায় আহত হায়দার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার জিয়াউল হক খোন্দকার জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সম্পাদনা: এনকে