গর্তে ভরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ॥ বাড়ছে জনদূর্ভোগ • নতুন ফেনীনতুন ফেনী গর্তে ভরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ॥ বাড়ছে জনদূর্ভোগ • নতুন ফেনী
 ফেনী |
১৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গর্তে ভরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ॥ বাড়ছে জনদূর্ভোগ

রাশেদুল হাসানরাশেদুল হাসান
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৬:১০ অপরাহ্ণ, ০৩ আগস্ট ২০১৫

মিরসরাই প্রতিনিধি>>
টানা বৃষ্টিতে আবারো খানা-খন্দ, গর্ত সৃষ্টি হয়েছে দেশের লাইফ লাইন হিসেবে খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। মহাসড়কে বড় বড় গর্তে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। এতে দূর্ভোগে পতিত হয়েছে এই রুটের যাত্রীবাহী সাধারন থেকে বিলাস বহুল গাড়ী সহ সকল শ্রেণীর গাড়ীকে। সকল যানবাহনের গতিই নির্ধারিত গতির চেয়ে অনেক কম ও অনেক স্থান দিয়ে অতি ধীরে চলাচল করতে হচ্ছে পরিবহনগুলোকে।
আর তাই দেশের বিভিন্ন স্থানের বিকল্পহীন এই ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের যাত্রীদের দূর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাপক হারে। অনেক যাত্রীদের দ্বিগুন সময় লাগার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে সম্প্রতি।
ঢাকা থেকে গত রবিবার দুপুর ১২ টায় ইউনিক পরিবহনে উঠা যাত্রী ইমাম হোসেন চট্টগ্রাম পৌছেন রাত ১০টায়। গর্তে ভরা সড়কে চালকের গাড়ী চালানোর প্রতিবন্ধকতা, আবার সিএনজি অটোরিক্সার জন্য গাড়ীর গতি বার বার নিয়ন্ত্রন করা সহ নানাবিধ ভোগান্তি। এরপর আবার গর্তের দরুন বৃদ্ধ ও অসুস্থ যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটাই অসহনীয়।
সোমবার মিরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট থেকে চট্টগ্রামগামী কমফোর্ট হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম পৌছা রোগী ঈসমাইল হোসেন (৬০) এর পুত্র আসিফুল ইকবাল জানান তিনি হৃদরোগের আক্রান্ত তাঁর পিতাকে হয়ে অক্সিজেন দিয়ে চট্টগ্রাম ম্যাক্স হাসপাতালে নেবার পথে অন্তঃত ৫ বার অক্সিজেন মাক্সটি খুলে যায়।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায় চট্টগ্রামের সিটিগেইট থেকে মিরসরাই উপজেলার বারইয়াহাট পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার জুড়ে কোয়ার্টার কিলোমিটার সড়ক ও একটানা গর্তমুক্ত নেই। আর কোথাও কোথাও গর্তের গভীরতা আর গর্ত সংখ্যা এতোটাই বেশী যে যানবাহন বিকল হয়ে পড়াটা ও স্বাভাবিক। এছাড়া ফেনী – চৌদ্বগ্রাম, কুমিল্লা, দাউদকান্দি পেরিয়ে কাঁচপুর অবধি বিভিন্ন অংশে ও একই দশা।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে প্রবেশের পর মিরসরাই উপজেলার  সোনাপাহাড়, মস্তাননগর, দুর্গাপুর, ঠাকুরদীঘি, মিরসরাই, নয়দুয়ারিয়া, নিজামপুর, বড়দারোগারহাট, সীতাকুন্ড, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুন্ড, শীতলপুর, কুমিরা, ভাটিয়ারী, ফৌজদারহাট এলাকায় এই গর্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশী।
আবার কোন কোন বিশেষ বাইপাস ও ইউ টার্ণি পয়েন্টে আরো বেহাল দশাই বিরাজ করছে। বিশেষ করে মিরসরাইয়ের মস্তাননগর, মিরসরাই সদর, বড়দারোগাহাট সহ বিভিন্ন অংশে আরো বেহাল দশা হয়ে আছে।
এই বিষয়ে  ফোরলেন প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জুলফিকার আলী এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন লাগাতার বৃষ্টির জন্য আমরা গর্তগুলো যথাযথভাবে সংস্কার করতে পারছি না। তবে বেশী গভীর হওয়া গর্তগুলোতে ইট দিয়েছি। বৃষ্টি বন্ধ থাকলে আগামীকাল থেকেই আমাদের সংস্কার শুরু হবে।
মিরসরাই সদরে থানার সামনেই দীর্ঘদিন ঢালাইবিহীন পড়ে থাকা অংশে ইট পাথরের গর্তময় স্থানটিতে ইতিমধ্যে  অনেক দূর্ঘটনা ঘটে এই বিষয়ে এই অংশের দায়িত্বরত কর্মকর্তা প্রকৌশলী কীরন চন্দ্র বলেন এখানে ও শীঘ্রই ঢালাই কাজ শুরু হবে।
সম্পাদনা: আরএইচ/এমইউ

আপনার মতামত দিন

Android App
Android App
Android App
© Natun Feni. All rights reserved. Design by: GS Tech Ltd.