সাহিত্য জাগরণ :
অবিশ্বাসে মৃত্যু
এনামুল হক
যাকে এক পূর্ণিমা রাতে,
অনাকাঙ্খিত স্বপ্নের ভিড়ে,
রক্তে রাঙা কমলরূপে পেয়েছিলাম।
সে রঙে আজ ঘোলাটে আভা!
সে কমলে তাকালে প্রশান্তি আসে না;
চক্ষুশূল হয়ে বিঁধে।
যাকে সর্ব সুখের আশ্রম ভেবেছিলাম,
যে আমার ক্লান্ত মনের ছিল শান্তির কুঁড়ে ঘর
তা আজ অতিবৃষ্টিতে চালহীন হয়ে পড়ে আছে।
সে সুবাসিত ঘর আজ স্যাঁতস্যাঁতে;
ভ্যাবসা গন্ধে ভরে গেছে।
সেখানে কোনো মানুষ থাকতে পারে না।
সে ঘরে অশান্তির একটা বিন্দুও কি ছিল?
ছিল এক সিন্ধু বিশ্বাস।
বিশ্বাস সিন্ধুর জলোচ্ছ্বাসে অশান্তির বিন্দু
এক মুহূর্ত ঠাঁই পেত না।
আজ সে সিন্ধু নদে নেই এক ফোটা জল!
বিন্দু বিন্দু অবিশ্বাসে রাশি রাশি মিষ্ট জল
বাষ্প হয়ে অসীম আকাশে মিশেছে।
মেঘ হয়ে ভেসে বেড়ায়—–
মাটির পৃথিবী থেকে তাকে শুধু দেখা যায়:
সিক্ত হওয়া যায় না।
হয়তো আবার জলে পূর্ণ হবে;
মেঘ দূত হয়ে, বিজলী চমকিয়ে,
গর্জনে আকাশ ফাটিয়ে,
সারা পৃথিবীর ধুলোবালি মেখে
আবার সিন্ধুতে তরঙ্গ নাচন উঠবে।
কিন্তু;
এতদিনের জলহীনতায় শুষ্ক নদীর করুণ আর্তি কে শুনবে?
তৃষ্ণায় মৃত প্রাণের অদৃশ্য কান্না;
অনাকাঙ্খিত অশ্রু কে মুছতে পারবে?
এ মৃত্যুর দায় নেবে কে?
চির অজর দেহটা কি প্রাণ পাবে ফিরে?
কবি : বাংলা বিভাগ(অধ্যয়নরত), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া