নিজস্ব প্রতিনিধি>>
টানা শৈত্য প্রবাহে শীতের তীব্রতা বাড়ায় ফেনীতে গরম কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। শহরের রাজাঝি দীঘির পাড় ও ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত মার্কেটগুলোতেও পসরা সাজানো হয়েছে শীত কাপড়ের। দাম কিছুটা কম হওয়ায় মার্কেটের চেয়ে শহরের বিভিন্ন ফুটপাতেই ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
ফেনী শহর ঘুরে দেখা যায়, রাজাঝি দিঘীর পূর্ব ও দক্ষিণ পাড়, ট্রাংক রোডের বড় মসজিদ, সদর হাসপাতাল মোড়, মহিপাল হাইওয়ের পাশে, রেল স্টেশন রোডসহ বিভিন্ন ফুটপাতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে শীতের কাপড়। অনেক দোকানী হাঁকডাক দিয়ে আমেজেই বিক্রি করছেন এ কাপড়। এছাড়াও অভিজাত শপিং সেন্টার গ্র্যান্ড হক টাওয়ার, শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপনী বিতান, এফ রহমান এসি মার্কেট, গ্রীন টাওয়ার, ফেনী সুপার মার্কেট, আলী আহমেদ টাওয়ার, তমিজিয়া মার্কেট থেকে শীতের নতুন কাপড় সংগ্রহ করছেন উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। এসব শীতের কাপড়ের মধ্যে সুয়েটার, জাম্পার, কম্বল, মাপলার, কোট, মানকি টুপিই বেশি বিক্রি হচ্ছে।
রাজাঝি দীঘির পাড়ের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে ৫০ থেকে প্রায় ২ হাজার টাকা দামের শীতবস্ত্র পাওয়া যায়। ক্রেতারা যে যার পছন্দ ও সাধ্য অনুযায়ী ভ্রাম্যমান দোকানগুলো থেকে বস্ত্র কিনেন। মূলত মধ্যবিত্ত ও নিম্ম বিত্তরাই এসব দোকানীদের ত্রেতা। মাটি কাটার শ্রমিক আমজাদ মীর নতুন ফেনী’কে জানান, মার্কেট থেকে ফুটপাত গুলোতে পছন্দের বস্ত্র কম দামে কিনতে পারি বলে এখানে এসেছি।
ভ্যান গাড়ী ভরে শীতবস্ত্র বিক্রেতা আক্কাস আলী নতুন ফেনী’কে জানান, তিনি নতুন ও পুরাতন শীত বস্ত্র বিক্রি করেন। প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ পিস পর্যন্ত বিক্রি হয়। এতে তার ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। অন্যদিকে অভিজাত মার্কেটগুলোতে প্রকার ভেদে ১শ থেকে প্রায় ৮ হাজার টাকা দামের শীত বস্ত্র বিক্রি হচ্ছে। দোকানগুলোতে বিগত বছরের তুলনায় এবার দাম চড়া হওয়ায় ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের লোকেরা বস্ত্র কিনতে এসে অনেকেই বিপাকে পড়ছেন। কেউ কেউ পছন্দের বস্ত্র পেয়েও দাম সাধ্যের বাহিরে থাকায় না কিনেই বাড়ি ফিরছেন।
অভিজাত বিপনী এফ রহমান এসি মার্কেটের দোকানী লোকমান হোসেন নতুন ফেনী’কে জানান, এবার ঢাকাতেই শীত বস্ত্রের দাম চড়া, যার ফলে ছড়া দামেই আমাদেরকে বিক্রি করতে হচ্ছে। এছাড়াও দোকানের ভাড়া ও আনুসাঙ্গিক খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় সব ধরনের কাপড়ে দাম বাড়ছে বলে তিনি জানান।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনকে