মেয়ের স্বজনরা থানায় গেলেন অপহরণ মামলা করতে বরের স্বজনরা বিয়ের প্রস্তাব দিলে সেখানেই বিয়ে হয় তাদের। বৃহস্পতিবার ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানায় ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে কনেকে শশুরবাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের দশআনি গ্রামের ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে পার্শ্ববর্তী দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বৈরাগপুর গ্রামের নুর নবীর ছেলে প্রবাসী ইয়াকুবুর রহমানের (২৬) বিগত প্রায় আড়াই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। সম্প্রতি ইয়াকুব দেশে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বরকে অপছন্দ করে কলেজ ছাত্রীর মা। এতে ক্ষিপ্ত হলে বুধবার সন্ধ্যায় ছোট ভাই ইয়াছিনকে (২০) নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে ওই ছাত্রীর বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে তাকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে ইয়াকুব। এ সময় ওই কলেজছাত্রীর চিৎসাকে স্বজনরা এগিয়ে এসে তাদের আটক করে পুলিশে দেন।
পরে বৃহস্পতিবার বিকালে ওই ছাত্রীর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা করতে আসলে ইয়াকুবের বাবা নুর নবী তাঁর স্বজনদেরকে নিয়ে থানায় এসে বিয়ের প্রস্তাব দেন। পরে মামলা না করে উভয় পক্ষের লোকজনের সম্মতিতে থানা পুলিশের মধ্যস্ততায় থানা মসজিদে কলেজছাত্রীর সঙ্গে ৫লাখ টাকা দেহমোহরের বিনিময়ে ইয়াকুবের বিয়ে পড়ানো হয়।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমেদ বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রব ইয়াকুব ও তার ভাই ইয়াছিনের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের তারা ওই ছাত্রীকে তুলে নেয়ার চেষ্টাসহ অন্যান্য তাদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন।
সম্পাদনা: আরএইচ/এনজেটি