পোশাকি ধর্ম বীর
নূরে-আলম মামুন
আরে বেটা রাষ্ট্র ধর্ম গেল না
থাকলো সেটা পরে দ্যাখ,
আগে নিজের ধর্মটা ঠিক করে,
পরে হাঁসের মত কর প্যাঁক প্যাঁক।
বন্ধ কর মূর্তি নিয়ে টানাটানি,
আগে দূরকর তর মনের ভিতরের শয়তানি।
গন্ডার উপর কাপর তুলতেই তর ফাটে,
রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম না হিন্দু
সেটা ভেবেই মরছিস মাটা ঠুকে।
ফেরাউন যখন রাজা ছিল
মুসা তখন নবী হল,
রাষ্ট্র ধর্মটা তখন কি ছিলো?
মুহাম্মদের যখন জন্ম হল
তখন আইয়ামে জাহেলিয়া যুগ ছিলো
ইসলাম প্রচার কি থেমে ছিলো?
আমার দিনের নবী আমার
জানের জান প্রাণের প্রাণ,
সয়েছে হাজারো লাঞ্চনা আর অপমান,
তবুও খোদার দরবারে বলেছে
মাবুদ গো ক্ষমা করো এদের,
ওরা যে অবুঝ আদম সন্তান।
ধর্মের প্রচার কি জোরে হয় নাকি ভালবাসায়?
ধর্ম কি মারতে শেখায়,না বাঁচার স্বপ্ন দেখায়?
অনাহারী মানুষ না খেয়ে মরছে,
অথছ মসজিদ গুলো রাজপ্রাসাদের মত গড়ে উঠছে।
সভার বক্তা,টাকায় কেনা গোলাম,
ধর্ম প্রচারের জন্য নিজের দামের ডাকছে নিলাম।
ব্যাংকিং, ঘুষ নিত্য দিনের আহার,
লোভ,ক্ষোভ,অহংকার আর হিংসা
ভরা মন নিয়ে,সাদা কাপর আর
টুপির লোক দেখানো বাহার।
তবুও পান থেকে চুন গেলে কষে,
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা মাথায় চেপে বসে।
নব্বই শতাংশ মুসলিমের এই দেশে,
ফরজ নামাজ ছেড়ে সবাই নফল পড়ে মিলে মিশে।
ধর্মটাকে পুজি করে ফায়দা লুটছে পীর,
মাজার পূজায় আমজনতা হয়েছে অস্থির।
আল্লাহ্ বড় না,রাসুল বড় না,
বড় হলেন আব্দুল কাদির জিলানী,
অপবিত্র অবস্তায় তিনার নাম নিলে গায়ের লোম কষে পরে,
ওয়াজে মধুর কন্ঠে চলছে এসব বিলানী।
ধর্মিয় দলের বীরবাহাদুর ধর্ম নেতা,
ভোটের বিনিময়ে জান্নাতের টিকেট বিলায় যতাতথা।
এ যুগের ধর্মপ্রচারক মহা বীর,
তার কথায় ধর্ম না মানলে
চাপাতিতে কুপিয়ে করে চৌচির।