ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নে রুহিতিয়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাতের জন্য তিন বোনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে সহদোররা। হয়রানী থেকে বাঁচতে শনিবার সন্ধ্যায় ফেনীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রেজিয়া আক্তারের ছেলে আসাদুজ্জামান চৌধুরী (বাবু) তার মায়ের পক্ষে জানান, আমার পিতা ফজলুল হক ভূঁইয়া মৃত্যুর সময় ছাগলনাইয়া উপজেলার চাঁদপুর মৌজা, পৌরসভার বিরিঞ্চি, ও সদর উপজেলার রুহিতিয়া মৌজা দিন ৮০৫ শতাংশ জমি রেখে মৃত্যুবরণ করেন। রাষ্ট্রীয় আইন মোতাবেক ওই সম্পত্তিতে আমরা পাঁচ বোন ৮৯.৪৪ শতকের মালিক হই। ওই সম্পত্তির সিএস, আরএস এ আমাদের নাম রয়েছে। আমার বোন রহিমা খাতুন ক্যান্সার আক্রান্ত হলে আমিসহ তিন বোন পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করি। আমার ভাই নিজামুল হক ভূঁইয়া (নিজাম) এবং নুরুল আমিন ভূইয়া (আলমগীর) আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বুঝিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরই মধ্যে অমার বোন বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। এক পর্যায়ে আমরা ফেনী সদর উপজেলার কাজীরবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ এর কাছে একটি বণ্টননামা লিখিত অভিযোগ করি। পরে তিনি ২০১৯ সালের ৫ মার্চ তিনি আমাদের বিষয়টির কোন সমাধান করতে উভয় পক্ষকে নোটিশ করেও অদৃশ্য কারনে কোন সমাধান দেননি। চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করায় আমার ভাইয়েরা ক্ষুব্দ হয়ে আমি, আমার বোন রহিমা খাতুন এবং সুফিয়া খাতুন এর বিরুদ্ধে দুটি বানোয়াট ও মিথ্যা মামলা দায়ের করে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকে। পরে আমরা বিষয়টি ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন কে জানালে তিনি ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাহাউদ্দিন বাহার’কে তদন্ত করে সমাধান করার নির্দেশ দেন। কিন্তু কাউন্সিলও আমাদের বিষয়টি সমাধানে কোন উদ্যোগ নেননি।
সংবাদ সম্মেলনে রেজিয়া আক্তার জানান, বর্তমানে আমি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থের অভাবে চিকিৎসা হীনতায় ভুগছি। আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিগুলো বিক্রি করে দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাই আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি পৈত্রিক সম্মত্তি উদ্ধার ও মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজীরবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী বুলবুল আহমেদ সোহাগ বলেন, এরকম অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয় আমার স্মরণে নেই। আর সম্পত্তির বিষয়ে মামলা হলে সেটি আদালতের ব্যাপার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন বাহার বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক ও নির্বাচন সংক্রান্ত নানা ব্যস্ততার কারণে এর সুরাহা হয়নি। সামনে বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করবো।
সংবাদ সম্মেলনে রাজিয়া বেগমের ছেলে আসাদুজ্জামান চৌধুরী (বাবু), রহিমা খাতুনের ছেলে জামশেদ আলমসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদনা: এনকে